স্মার্টফোনে লুডু, ক্যারাম ও তাস খেলার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নির্দেশনা জারি করেছেন বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ জিয়াউল করিম। কোনো দোকান বা স্থানে বসে কেউ এগুলো খেললে ১০ হাজার টাকা জরিমানার কথাও বলা হয়েছে। একই সঙ্গে যে দোকানে বসে খেলা হবে সেই দোকান সিলগালা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শনিবার (১২ মার্চ) রাতে তিনি এই নির্দেশনা জারি করেন। এ সংক্রান্ত নোটিশ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সাঁটানো হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ জিয়াউল করিম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর এবং চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের আপন ছোট ভাই। তিনি হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়, ইউনিয়নের কোনো দোকান বা স্থানে বসে স্মার্টফোন বা লুডুর কোটের দ্বারা লুডু, ক্যারাম বোর্ড বা তাসের মাধ্যমে জুয়া খেলা এবং অবৈধ মাদক সেবন অবস্থায় যদি কোনো ব্যক্তিকে পাওয়া যায় তাহলে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সঙ্গে যে দোকানে খেলা অবস্থায় পাওয়া যাবে সেই দোকান অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যার পরপরই যুবকরা গভীর রাত পর্যন্ত দলে দলে ভাগ হয়ে দোকানপাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে বসে লুডু খেলে। মোবাইলে লুডু খেলার পাশাপাশি জুয়া খেলতেও দেখা যায়। সন্ধ্যার পর যাদের পড়ার টেবিলে বসার কথা, তাদের দেখা যায় দোকানের সামনে বসে লুডু-ক্যারাম খেলতে। চেয়ারম্যান প্রশংসাযোগ্য ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ জিয়াউল করিম বলেন, স্মার্টফোনে লুডু খেলে যুবকরা বিপথগামী হচ্ছে। তারা প্রথমে শখের বসে খেললেও পর জুয়ায় আসক্ত হয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে নানা ধরনের অভিযোগ আসায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জাগরণ/আরকে