কুমিল্লা নগরীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষ প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে। এরমধ্যে একজনের হাতে পিস্তল ছিল। মহড়ার এক পর্যায়ে অপরপক্ষের উপর হামলা করা হয়। এতে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
রবিবার (১৩ মার্চ) নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চকবাজার গর্জনখোলা বিদ্যুৎ কার্যালয়ের গলিতে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, অন্তত ৫০ জনের হাতে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র। একজনের হাতে ছিল পিস্তল।
পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, পিস্তল হাতে ওই যুবকের নাম আবদুর রাজ্জাক। তার বাড়ি চকবাজার গর্জনখালা পশ্চিমপাড়া এলাকায়। তার নেতৃত্বেই বিদ্যুৎ অফিস গলি এলাকার রবিন আহমদ ও জালাল উদ্দিনের লোকজনের ওপর হামলা হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ব্যবসা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অস্ত্রের মহড়া চলাকাল আগ্নেয়াস্ত্র হাতে থাকা ব্যক্তির নাম আবদুর রাজ্জাক (৪০)। বাড়ি নগরীর চকবাজার গর্জনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায়। তার নেতৃত্ব প্রথমে হামলা চালানো হয়েছে পূর্বপাড়া বিদ্যুত অফিস গলি এলাকার বাসিন্দা রবিন আহমেদ ও জালাল উদ্দিন গ্রুপের উপর।
রবিন ওই এলাকার মৃত মাহে আলমের ছেলে। আর জালাল একই এলাকার হোসেন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনার পরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
প্রায় এক ঘণ্টা চলে এ ঘটনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজ্জাক বলেন, আমি মাদক কারবারি নই। এরপরই তিনি কল কেটে দেন।
রবিন আহমেদ বলেন, আমরা কোনো হামলা করিনি। তারাই আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান আবদুর রাজ্জাক পেশাদার মাদক কারবারি। তিনি চেয়েছেন আমরা তার সঙ্গে থেকে মাদকের কারবারে যুক্ত হই। এ ছাড়া তিনি এলাকায় আধিপত্যবিস্তার করতে মরিয়া। তিনি চান এলাকার সবাই তার কথায় চলবে। কিন্তু আমি আর জালাল তার এসব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করেছি। এজন্য তিনি আমাদের উপর ক্ষুব্ধ। কিছুদিন আগে তিনি আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমার পায়ে দা দিয়ে কুপিয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় পাঁচজন আহত হয়েছে। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে রবিবার রাতে একজনকে আটক করেছি। রাতেই তার নামে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার গ্রেপ্তার সজীবকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জাগরণ/আরকে