• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২২, ১০:৩৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১৫, ২০২২, ১০:৩৭ এএম

বীরগঞ্জ জেলখানা যেন ভূতের বাড়ি

বীরগঞ্জ জেলখানা যেন ভূতের বাড়ি

প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ প্রতিনিধি
বীরগঞ্জ পুরাতন জেলখানাটি অযন্ত অবহেলায় এখন যেন ভূতুরে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। এটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে চলে বখাটে নেশাখোরদের আড্ডা। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে অনেকেই এখন জেলখানাটি ভুতের বাড়ি নামেই চেনে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিগত ৩০ বছর আগে বীরগঞ্জ উপজেলায় ১০০ জন কয়েদির ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন মিনি সাব জেলখানা নির্মিণ করেন। 

জানা যায়, ১৯৯১ সালে সরকার উপজেলা আদালতগুলোকে জেলা শহরে স্থানান্তর করে। সারাদেশে ২৫ টি উপ-কারাগার ছিল। উপ-কারাগারগুলোকে প্রত্যাহার করলে, এটিও পরিত্যাক্ত হয়। অযত্ন, অবহেলা আর তদারকির অভাবে কারাগারটির দরজা-জানালা ভেঙে ভুতুড়ে ঘরে রুপান্তরিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায় , ১৯৮১ সালে সরকারি ভাবে থানাগুলোকে উপজেলায় রূপান্তর করে, সেই সময় প্রতিটি উপজেলা আদালতে বিচার কার্য চালু ছিল। বর্তমান দিনাজপুর জেলা কারাগার ১৮৫৪ সালের উত্তর বঙ্গের বৃহত্তম কারাগার হিসেবে স্থাপিত হয়েছিল। 

দিনাজপুরের উত্তরেও বীরগঞ্জ উপ-কারাগার হয়েছে ১৯৮৪ সালে। যা ২.২০ একর জমিতে নির্মাণ করা হয়। 

বীরগঞ্জ উপ-কারাগারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মো: আব্দুর রহমান জানান, কোন ক্ষয় ক্ষতি করতে না দেয়ায় রাতে আক্রমণ করার চেষ্টা করে অনেকে।

এ বিষয়ে বীরগঞ্জ সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকতা সারোয়ার মুশির্দ আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারাগারটি ২০০৪ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সমাজ সেবা অধিদপ্তরকে হস্তান্তর করেন। রংপুর বিভাগে শিশু অপরাধী সংশোধনী কারাগার না থাকায়, এটিকে রূপান্তরিত করতে পারেন। ঢাকা থেকে আগত একটি টিম পরিদর্শন করে গেছেন।

জাগরণ/আরকে