ঘরে স্ত্রী রেখেই আরেক বিয়ে করেন মো. সোহেল বাবু। তাও আবার স্ত্রীরই মামাতো বোন। নেননি অনুমতিও। এতে ক্ষিপ্ত হন প্রথম স্ত্রী ২২ বছর বয়সী নাসরিন বেগম। ক্ষোভ থেকেই স্বামীকে ফাঁসাতে বাড়িতে রাখেন হেরোইন। পুলিশেও দেন খবর। শেষে নিজেই ফেঁসে যান। আটক হন পুলিশের হাতে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানাধীন আসাম কলোনির বউবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসায় ডিবি পুলিশের হাতে আটক হন বাবুর স্ত্রী নাসরিন বেগম। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর ডিবি পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আরেফিন জুয়েল।
তিনি বলেন, নাসরিন বেগমের স্বামী মো. সোহেল। সোহেল পেশায় পুরোনো কাপড়ের ব্যবসায়ী। ছয় বছরের সংসারে এক সন্তান রয়েছে তাদের। এরই মধ্যে অনুমতি ছাড়াই নাসরিনের মামাতো বোনকে বিয়ে করেন সোহেল। এতে রাগের বশে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী রুবেলকে দিয়ে প্ররোচিত হয়ে ঘরে ১০ গ্রাম হেরোইন রেখে ডিবি পুলিশে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাদক উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
পরে সোহেল ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সোহেল মাদকের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না। এমনকি তিনি সিগারেটও খান না। এতে সন্দেহ হলে ঘটনার গভীরতর অনুসন্ধানের জন্য সোহেলের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে নাসরিন জানান, তারই ১৫ বছর বয়সী মামাতো বোনকে বিয়ে করেন স্বামী সোহেল। এতে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী রুবেলের কাছ থেকে হেরোইন নিয়ে ডিবি পুলিশ দিয়ে স্বামীকে জেলে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।
মাদক ব্যবসায়ী ও ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী রুবেল বলেন, নাসরিন আমার ভাগ্নি হন। সোহেল আমার জামাই। এ ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার ভাগ্নিকে চাপ দিয়ে এসব কথা স্বীকার করানো হয়েছে এবং আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।
এ ঘটনায় নাসরিন ও রুবেলের ব্যাপারে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে ডিবি পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, এ ঘটনায় চন্দ্রিমা থানায় নাসরিনের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইউএম