
জাতীয় শিশু দিবসে শিশুর জীবন সংকটাপন্ন করে ফেলেছে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার এক পল্লী চিকিৎসক। ওই চিকিৎসকের দেয়া ওষুধ খেয়ে ঝলছে গেছে ৫ মাস বয়সী এক শিশুর শরীর।
এ ঘটনায় পল্লী চিকিৎসক দীপক চন্দ্র নন্দী বাবুর নামে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন শিশুটির চাচা মো: ফিরোজ সিকদার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিটেশ্বর ইউনিয়নের বীরবাগগোয়ালী গ্রামের প্রবাসী মো: কামরুল হাসানের স্ত্রী সাহারা আক্তার তার পাঁচ মাস বয়সী শিশু মো: আবরার হোসেন অসুস্থ হলে শনিবার (১২ মার্চ) স্থানীয় নৈইয়ার বাজারের নন্দী ফার্মেসীতে নিয়ে যান। ফার্মেসীর মালিক পল্লী চিকিৎসক দীপক চন্দ্র নন্দী বাবুর দেয়া ওষুধে কাজ না করায় পরদিন রবিবার আবারও সেখানে নিয়ে যান।
রবিবারের দেয়া ওষুধ খেয়ে শিশুটির পুরো শরীর ঝলসে যায়। বর্তমানে শিশুটি ঢাকার মাতুয়াইল শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শিশুটির মা সাহারা আক্তার বলেন, কোন মানুষ আগুনে পুড়লে যেমন হয়, দীপক চন্দ্র নন্দী ডাক্তারের দেয়া ওষুধ খেয়ে আমার বাচ্চার অবস্থা এখন তেমন হয়েছে। এখন আমার বাচ্চা সারাদিনে একবারও চোখ খোলে না। আমি ওই পল্লী চিকিৎসকের বিচার দাবি করছি।
পল্লী চিকিৎসক দীপক চন্দ্র নন্দী বাবু বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে গরমে শিশুটির শরীরে ছোট ছোট গোটার মতো হয়েছে। প্রথম দিনের ওষুধে ভালো না হওয়ায় এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়েছিলাম।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মো: হাবিবুর রহমান বলেন, কোন পল্লী চিকিৎসক এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখতে পারে না। ওষুধের পাওয়ারে শিশুটির পুরো শরীর ঝলসে গেছে। আমি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাতুয়াইল শিশু হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তৌহিদ আল হাসান বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ওই পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম খান বলেন, শিশুর শরীর ঝলসে যাওয়া বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তদন্ত সাপেক্ষে ওই পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।
জাগরণ/আরকে