কুমিল্লা নগরীর চকবাজার এলাকার গর্জন খোলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেশী ও বিদেশী অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় একটি বিদেশী পিস্তলসহ বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় ।
রবিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার চকবাজার গর্জন খোলা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজ্জাক গ্রুপ ও রবিন গ্রুপের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
যেটি গুরুত্ব সহকারে দৈনিক জাগরণ পত্রিকায় ছবিসহকারে প্রকাশিত হলে র্যাব কার্যালয় পত্রিকার কপি হাতে পায়। প্রকাশ্যে দেশীয় ও বিদেশী অস্ত্র হাতে মহড়া করলে এলাকার সাধারণ জনগন আতংকিত হয়ে পড়েন।
এ ঘটনার পর থেকেই র্যাব-১১, ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। তাদের তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) তারিখ দিবাগত ভোর রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার গর্জন খোলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাজ্জাক গ্রুপের অন্যতম সদস্য মো: হৃদয় (২১) পিতা মো: মনির হোসেন এবং মো: নিজাম উদ্দিন মিঠু (২২) পিতা মো: বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই তারিখ ভোররাতে নারায়নগঞ্জ জেলার সাইনবোর্ড এলাকা হতে উক্ত ঘটনার অন্যতম মূলহোতা ও রাজ্জাক গ্রুপের প্রধান মো: আ. রাজ্জাক (৪৮) কে, পিতা মৃত মালু মিয়া আটক করা হয় এবং তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী তার বাড়ির সংলগ্ন গোপন স্থান হতে ১ বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে একই রাতে পৃথক আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে রবিন গ্রুপের অন্যতম সদস্য ও উক্ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ অংশগ্রহণকারী মো: সজিব মিয়া (২৯), পিতা মৃত ওহাব মিয়া, ও আশ্রয়দাতা মো: নাজমুল হাসান দীপু (৩২), পিতা-আবুল কাশেমকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ১ বিদেশী পিস্তল, ১ ম্যাগাজিন, ৯ রামদা এবং স্টীলের তৈরী লাঠি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব ১১ সিপিসি ২ কুমিল্লার কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেপ্তারকৃত আসামিদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় এলকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেশীয় ও বিদেশী অস্ত্রসহ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটায়। ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়াও সিসি টিভির ফুটেজ বিশ্লেষনের মাধ্যমে বাকী অস্ত্রধারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
জাগরণ/আরকে