• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২২, ০৪:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২১, ২০২২, ০৪:৫৬ পিএম

তিন সন্তানের মাকে বিয়ে করলেন ২০ বছরের যুবক

তিন সন্তানের মাকে বিয়ে করলেন ২০ বছরের যুবক

মাগুরার মহম্মদপুরে পরকীয়ায় জড়িয়ে তিন সন্তানের জননীকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন ২০ বছর বয়সী মো. আশরাফুল ইসলাম। শুক্রবার গভীর রাতে ঐ নারীর সঙ্গে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে এলাকাবাসী। এরপর তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়।

আশরাফুল মহম্মদপুর সদর ইউনিয়নের ঢুষরাইল গ্রামের আনিচ মোল্যার ছেলে। তার নববিবাহিত স্ত্রীর বাড়ি পাশের গ্রামে। তার তিন কন্যা সন্তানের বয়স ১৮, ১০ ও ৫ বছর।

মহম্মদপুর থানার এসআই মোক্তার হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে গভীর রাতে গোপনে ঐ নারীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো আশরাফুল। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী ও ঐ নারীর স্বামীর স্বজনরা আশরাফুলকে একাধিকবার নিষেধ করেন। কিন্তু তাদের কোনো বাধাই আটকাতে পারে না। নিষেধ না মানায় স্থানীয় কয়েকজন শুক্রবার গভীর রাতে ঐ নারীর ঘর থেকে আশরাফুলকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।

ঐ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে তারা দুজন বিয়ে করবেন বলে জানান। মেয়েদের কাছে জানতে চাইলে তারাও ঐ যুবকের সঙ্গেই তাদের মায়ের বিয়ে হোক বলে জানায়। পরে পুলিশ তাদের মহম্মদপুর সদর ইউনিয়নের এক মেম্বারের জিম্মায় দিয়ে লিখিত নিয়ে যায়। রোববার আদালতে গিয়ে আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।

ঐ গৃহবধূর প্রাক্তন স্বামী বলেন, আমি ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করি। আমার তিন মেয়ের মধ্য বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। ব্যস্ততা থাকায় ঢাকা থেকে বাড়িতে কম আসা হয়। আমার ছেলে না থাকায় আমার স্ত্রীকে আশরাফুল মা বলে ডাকতো। এজন্য আমি তাকে সন্দেহ করতাম না। এ সুযোগ নিয়ে আশরাফুল প্রায়ই আমার বাসায় এসে স্ত্রীর সঙ্গে আড্ডা দিতো।

তিনি আরো বলেন, এলাকাবাসী বিষয়টি ভালো চোখে না নিলে আশরাফুলকে আমার বাসায় আসতে নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা আমার কথা অমান্য করে আমার বাড়িতে গভীর রাতে আসা যাওয়া করতো। ঘটনার দিন সকালে আমি স্ত্রীকে ফোন করেছিলাম পরে সে আমাকে বলেছে- আমি তোমার সংসার করব না।

ইউএম