যশোরের মণিরামপুরে এক কবিরাজের ‘রুটিপড়া’ খেয়ে ৮ জন নারী-পুরুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ঐ উপজেলার শ্যামকূড় ইউনিয়নের বাঙ্গালীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে বাঙ্গালীপুরের শহিদুল মোল্যার মেয়ে রেশমা খাতুনের ঘর থেকে ৯২ হাজার টাকা চুরি হয়। চুরির রহস্য উদ্ধার করতে রেশমা খাতুন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার এক কবিরাজের কাছ থেকে ২২টি ‘রুটি পড়া’ আনেন। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামকূড় ইউনিয়নের মেম্বার রবিউল ইসলাম রবি, রফিকুল ইসলাম বুলুসহ স্থানীয় কয়েকজনের উপস্থিতিতে সন্দেহভাজন ২২ জন নারী-পুরুষকে সেই ‘রুটি পড়া’ খাওয়ানো হয়।
এরপর একে একে রুটি খাওয়া ব্যক্তিদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে থাকে। গত শুক্রবার ও শনিবার থেকে রুটি খাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, বমিসহ নানা রোগ দেখা দেয়।
এক পর্যায়ে ৮ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা হলেন- ঐ গ্রামের আলামিনের স্ত্রী লিমা খাতুন, জসিম উদ্দীনের স্ত্রী রেহেনা খাতুন, মোমিন উদ্দীনের স্ত্রী জাহিদা খাতুন, শরীফুলে স্ত্রী রাশিদা বেগম, আনারুল ইসলামের ছেলে ফিরোজ হোসেন, ফিরোজের স্ত্রী ঝরনা বেগম, ফজলুর রহমানের ছেলে মাসুদ ও সরোয়ার মোল্যার ছেলে আতিয়ার রহমান।
ইউপি মেম্বার রবিউল ইসলাম রবি জানান, রুটি খাওয়ানোর সময় আমাকে ডাকা হয়েছিল। রুটি খাওয়ার পর অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় ফিরোজ হোসেন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। মণিরামপুর থানার এএসআই স্বরজিৎ বিশ্বাস অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউএম