• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২২, ০৩:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৩, ২০২২, ০৩:৪৩ পিএম

দখলদার কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা: চসিক মেয়র  

দখলদার কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা: চসিক মেয়র  

খাল- নালা দখলদাররা যতই প্রভাবশালী হোকনা কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আলহাজ্ব রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে আন্দরকিল্লাহস্থ নগর ভবনে এক বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে আন্তরিক। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে প্রকল্প বাস্তবায়ের জন্য সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে বৃহৎ ২৪৯১ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দিয়েছেন। যা দিয়ে ৭৬৯ কি.মি সড়কের উন্নয়ন, ২২ টি কালভার্ট, ১০ টি গোল চত্বর, ১৪ টি ব্রীজ, ৩৮ ফুটওভার ব্রীজ, ১টি ওভারপাস নির্মাণ করা যাবে। 

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নগরে মশার উৎপাত নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা প্রকল্পের জন্য অনেক খালে বাঁধ দেয়া হয়েছে। সেখানে পানি জমে আছে। ফলে মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মশা নিয়ে বিড়ম্বনায় আছি, সেটা অস্বীকার করবো না। কয়দিন আগে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটা খালে পরিদর্শনে গিয়ে নিজে বিব্রত হয়েছি। বদ্ধ পানিতে ঢিল ছুঁড়ে মারার পর দেখলাম কোটি কোটি মশা উড়ছে। দিনেও মশা, রাতেও মশা, তা অস্বীকার করবো না। তবে বাস্তবতা হচ্ছে জলাবাদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা নিয়ন্ত্রণ হবে না। 

নিজেকে কতটা সফল মনে করেন? এমন প্রশ্নে মেয়র বলেন, সাফল্য-ব্যর্থতা নিজে পরিমাপ করতে পারবো না। সেটা জনগণ করবে। তবে আমি নিরন্তর চেষ্টা করে গেছি। আমি ১ হাজার কোটি টাকার দেনা ও নানাবিধ সমস্যা মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করেছি। সেখান থেকে বের হয়ে চট্টগ্রাম নগরীকে নান্দনিক নগরী হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করতেছি।

রেজাউল করিম চৌধুরীর বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জনবলের সংকট রয়েছে সেটা থেকে কাটিয়ে উঠতে আস্হায়ী কর্মকর্তা - কর্মচারীদের দীর্ঘদিন স্হায়ীকরণে মন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছি। এই চট্টগ্রাম নগরী আমার আপনার সকলের। আমরা যদি সবাই মিলে সিটি করপোরেশনকে একটু সহযোগিতা করি তাহলে এই চট্টগ্রাম নগরী দিনদিন উন্নতির দিকে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, গিয়াস উদ্দিন ও আফরোজা কালাম।

জাগরণ/আরকে