চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ৬ নং চরভৈরবী ইউনিয়নের চরবৈরবী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডে নদীসিকিস্তি প্রাচীণতম এই বাজারের প্রায় অর্ধশত ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ভোর সোয়া ৫টায় চরভৈরবী বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে চাঁদপুর ও পাশ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট দুইঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। চাঁদপুর ফায়ার স্টেশনের উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাজারের একটি খাবারের হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যাবসায়ীরা জানান।
চরবৈরবী বাজারের ব্যবসায়ী সামছুল হক ফকির জানান, ভোরে ফজরের আযান দিলে বাজারের ইসলামিয়া হোটেলের শ্রমিক সিলিন্ডারের রান্না বসিয়ে নামাজ পড়তে যায়। ওই সময়ে হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
তিনি আরো জানান, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে তাদের সব কিছু শেষ করে দিয়েছে। মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘন্টার আগুনে বাজারে ৫০টির বেশি ছোট-বড় দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারী, হাইমচর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান মোল্লাসহ উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ভোর সোয়া ৫টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাজারেরর দোকানগুলো একটি সাথে একটি লাগানো। যার ফলে মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ টির মত দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুধু ভিটেমাটি ছাড়া তাদের আর কিছুই নেই। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি টাকা।
তিনি আরো বলেন, অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি আমরা সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপিকে অবগত করেছি। তিনি জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন। যাতে করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়িরা কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
জাগরণ/আরকে