কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় নরিন্দ্র মিছবাহুল উলুম মহিলা ও নূরানী মাদ্রাসার ৩ শিক্ষার্থী ও একই পরিবারের আপন তিন বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
সোমবার (২১ মার্চ) মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষিকা সাবিকুন্নাহার আক্তার আইরিন প্রথম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অস্বাভাবিক হাটতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ঐ ছাত্রী প্রথমে এড়িয়ে গেলেও একপর্যায়ে শিক্ষিকাকে জানায় মাদ্রাসার পাশের বাড়ির আলী আকাব্বর (৬০) তাকে ধর্ষণ করেছে।
বিষয়টি বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ সংবাদ পাওয়ার পর তিনি একটি টিম নিয়ে নরিন্দ্র মিছবাহুল উলুম মহিলা ও নূরানী মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে প্রথমে ১০ বছর বয়সী ১ মেয়ে শিশু এবং জিজ্ঞাসাবাদে একই পরিবারের (আপন বোন) ১১ বছর ও ৯ বছর বয়সী আরো ২ মেয়ে শিশুসহ মোট ৩ বোনের ধর্ষণের কথা জানতে পারেন।
তিন বোন মাদ্রাসা ছুটির পর বিকালে মাদ্রাসা সংলগ্ন খেলার মাঠে খেলা করার সময় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পৃথক পৃথক দিনে মাদ্রাসার পাশের বাড়ির আলী আকাব্বর (৬০) ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার ৩ শিক্ষার্থীকে নিরাপদ হেফাজতে নেয় পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) শিশুদের পিতা মাতা বরুড়া থানায় মামলা দায়ের করলে উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভিকটিমদের মেডিকেল পরীক্ষা ও ভিকটিমদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়।
অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল বাহার মজুমদার এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ আহাম্মেদসহ একাধিক টিম আসামিকে গ্রেপ্তারে সাড়াশি অভিযান শুরু করে এবং মামলা রুজুর ৩৬ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত আলী আকাব্বর (৬০) কে, পিতা-মৃত আলী আজ্জম দাউদকান্দি থানাধীন গৌরিপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তিন শিক্ষার্থী বোনকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।
জাগরণ/আরকে