লক্ষ্মীপুরে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজি চালিত অটোরিকশার ভেতর এক তরুণীকে শ্লীলতাহানি ও মারধর করায় গ্রাম পুলিশ সদস্যসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে অভিযুক্তদের লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে ।
গ্রেফতাররা হলো- সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ দুলাল হোসেন, স্থানীয় কিশোর মো. রিপন, যুবক মো. নিজাম উদ্দিন ও খোরশেদ আলম। অভিযুক্তরা চররুহিতা ইউনিয়নের কাঞ্চনীবাজার ও জনতাবাজার এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে বুধবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে শ্লীলতাহানির শিকার হয় ওই তরুণী। রাতেই অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযান চালিয়ে রাতেই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার সূত্র জানায়, ওই তরুণী লক্ষ্মীপুর নিউ মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভ্যর্থনা কক্ষে চাকরি করেন। তিনি চররুহিতা ইউনিয়নের জনতাবাজার এলাকার বাসিন্দা। প্রতিদিনের মতো শহরের উত্তর তেহমুনী থেকে ইউনিয়নের কাঞ্চনীবাজার যাওয়ার জন্য তিনি একটি অটোরিকশায় ওঠেন। এর আগেই ওই অটোরিকশায় রিপন ও নিজাম বসে ছিল। অটোরিকশাটি লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীহাট সড়কের সরকারি মহিলা কলেজের নতুন ক্যাম্পাস এলাকায় পৌঁছলে তারা তরুণীকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি করে। চিৎকার দিলে একপর্যায়ে তাকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দেয় তারা। পরে তিনি অন্য একটি অটোরিকশাযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে লক্ষ্মীপুর-মোল্লারহাট সড়কের জনতা বাজার এলাকায় যায়। সেখানে আগ থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল নিজাম, খোরশেদ ও রিপন। জনতা বাজার এলাকায় পৌঁছলে তারা তরুণীকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। এসময় গ্রাম পুলিশ সদস্য দুলালও অন্যদের সঙ্গে জড়িয়ে ওই তরুণীকে শ্লীলতাহানি করে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জাগরণ/আরকে