টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাব্বির হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় মিনহাজ উদ্দিন (৫০) নামের এক পোস্টমাস্টারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে মামলার আইও টাঙ্গাইল সদর থার এসআই মোরাদুজ্জামান এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে শুক্রবার (২৫ মার্চ) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মিনহাজ উদ্দিন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি বাসাইল উপজেলা পোস্টমাস্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এরআগে একই মামলায় গত ২৩ মার্চ করটিয়া বেপারীপাড়া এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মিরাজ (২০) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছে।
আহত ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির হোসেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঢেলিকরটিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাব্বির হোসেন একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। গত ১৫ মার্চ প্রতিদিনের ন্যায় সকালে সাব্বির হোসেন অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢেলিকরটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে এলাকার কতিপয় একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাব্বিরের ওপর এলোপাথাড়িভাবে আঘাত করে। এসময় তার মাথায়, হাত এবং পায়ে অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ওপর পড়ে যায়। সাব্বিরের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ওই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে সাব্বিরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির হোসেনের মা সাফিয়া বেগম বাদী হয়ে ২১ মার্চ ১৩ জনকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, এ হামলার ঘটনার প্রতিবাদ ও অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির পালন করা হয়।
সাব্বির হোসেনের মা সাফিয়া বেগম বলেন, আমার ছেলের ওপর বর্বরোচিত হামলার উপযুক্ত বিচার চাই। আমার ছেলেটি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই মোরাদুজ্জামান বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলা হয়েছে। আহত সাব্বিরের মা বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
টাঙ্গাইলের ডেপুটি পোস্টমাস্টার (জেনারেল) মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানান, বাসাইল উপজেলা পোস্টমাস্টারকে গ্রেফতারের বিষয়টি শুনেছি। যদি কোনও কর্মচারি মামলাতেই পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়, তাহলে সরকারি আইনে তাকে সাসপেন্ড করা হয়। অফিস খুললে তথ্য সংগ্রহ করে তাকে সাসপেন্ড করা হবে।
জাগরণ/আরকে