
তাসীন তিহামী, তিতাস
কুমিল্লার তিতাসের বালুয়াকান্দি গ্রাম সংলগ্ন মাটিয়া নদীর উপর পাকা সেতু নির্মাণ না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে দুই ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। বর্ষায় খেয়া নৌকা ও শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। ফলে দীর্ঘদিন যাবত নদীর দুপাড়ের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় মাটিয়া নদীর উপর একটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। এই সাঁকো দিয়ে মজিদপুর ইউনিয়ন ও দাউদকান্দি সদর উত্তর ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করে রাজধানীসহ জেলা শহরে যাতায়াত করেন। বর্ষাকালে এই সেতু থাকেনা, তখন খেয়া নৌকার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হন। প্রায় একশো ত্রিশ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকোর পূর্বপ্রান্তে বালুয়াকান্দি সড়ক ও সাঁকোর পশ্চিম প্রান্ত থেকে দুটি রাস্তার একটি দুধঘাটা ও আরেকটি হাসনাবাদ গ্রাম পর্যন্ত চলে গেছে।
বালুয়াকান্দি গ্রামের কাজল মিয়া জানান, এই সেতুটি আমাদের এলাকার দুর্ভোগের চিত্র হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে নদীর ঐপাড় থেকে জমি থেকে ফসল আনতে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুটি নির্মাণ হলে এলাকার মানুষ ও শিক্ষার্থীরা সহজে বিভিন্ন জায়গাসহ স্কুলে যেতে পারবে।
ভাজরা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আল-আমিন জানান, সাঁকো দিয়ে পার হওয়ার সময় ভয়ে থাকি কখন পরে যাই, স্কুলে যেতে ও আসতে প্রতিদিন এমনটাই হয়। সেতু নির্মাণ হলে সারাবছর আমরা নিরাপদে স্কুলে যেতে পারবো।
মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, মাটিয়া নদীর উপর সেতু নির্মাণ খুবই জরুরি, মানুষ কষ্ট করে সাঁকো পার হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। আমি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানাবো, এখানে সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক জানান, আমি নতুন এসেছি, বিষয়টি আমি খবর নিচ্ছি। চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলে পূর্বের কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা এসব পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাগরণ/আরকে