• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২২, ০৪:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৩১, ২০২২, ১০:৫৫ পিএম

দোয়ারাবাজারে গ্রাহকের উপর হামলার অভিযোগ 

দোয়ারাবাজারে গ্রাহকের উপর হামলার অভিযোগ 

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি 
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে কিস্তি দিতে বিলম্ব হওয়ায় ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসুচী প্রগতি অফিসের ম্যানেজারের নেতৃত্বে গ্রাহকের উপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। 

সম্প্রতি উপজেলার বাংলাবাজার এ ঘটনা ঘটে। 

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার 'বাংলাবাজার কৃষিবিপণি'র স্বত্বাধিকারী শুক্কুর আলী ব্র্যাকের স্থানীয় মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসুচী প্রগতি অফিস থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। এরপর থেকে নিয়মিত তিনি কিস্তি পরিশোধ করেও আসছেন। সম্প্রতি তিনি কিস্তি দিতে বিলম্ব হওয়ায় ব্র্যাক অফিসের সিও ওয়ারিছ আলী তার অফিসের লোকজন নিয়ে এসে দোকান ঘরে ব্যবসায়ীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং কিস্তি না দিয়ে বের হতে পারবে না বলে হুমকি দেন। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ব্র্যাকের লোকজন ব্যবসায়ী শুক্কুর আলীর উপর হামলা চালিয়ে মারধর ও ভাঙচুরের তাণ্ডব চালান। ঘটনা জানাজানি হলে বাজারের লোকজন ব্র্যাকের লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত হন এবং পাল্টা ধাওয়া করলে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।

বাংলাবাজার কৃষিবিপণির স্বত্বাধিকারী শুক্কুর আলী জানান মাসিক কিস্তি দিতে বিলম্ব হওয়ায় মঙ্গলবার(২৯ মার্চ) রাত অনুমান ৮ ঘটিকায় ব্র্যাকের মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসুচী প্রগতি ম্যানেজারসহ ৪/৫ জন আমার দেকানে এসে হামলা চালান। একপর্যায়ে তারা আমার গায়ে হাত তোলেন এবং দোকানের মালামাল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করতে থাকেন। পরে স্থানীয় ব্যবসয়ীরা ক্ষিপ্ত হলে তারা গা ঢাকা দেন। ইতোপূর্বে কিস্তি দিতে বিলম্ব হওয়ায় ব্র্যাক অফিসের লোকজন আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকার চেক নেন। পরে চেকে টাকা উত্তোলন না করে নগদ টাকা কিস্তি জমা নেন। কিন্তু তারা আমার চেক আর ফিরিয়ে দেননি। 

বাংলাবাজার ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসুচী প্রগতি অফিসের সিও ওয়ারিছ আলী  অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোন মাসেই তিনি সময়মত কিস্তি পরিশোধ করতে পারেননি। কিস্তির সময় আসলেই গড়িমসি করেন। মার্চ মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে কিস্তি পরিশোধ করার কথা থাকলে আমরা তার দোকানে গিয়ে কিস্তি চাইলে তিনি আমাদের সাথে আপত্তিকর কথাবার্তা বলেন।

ব্র্যাকের মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসুচী প্রগতি ম্যানেজার রতন চন্দ্র পাল বলেন, আমরা কিস্তি চাইতে গেলে তিনি আমাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করার চেষ্টা করলে দোয়ারাবাজার সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ আমাদেরকে নিরাপদে নিয়ে যান।

জাগরণ/আরকে