টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সম্মেলনে সভাপতি-সম্পাদক ঘোষণার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ ও নতুন সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এঘটনায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা যায়, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে বিরতির পর উপজেলা অডিটরিয়ামের বারান্দা থেকে সভাপতি-সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি। এরপর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ চলে যাওয়ার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ’র গায়ে ধাক্কার ঘটনা ঘটে। সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদের লোকজন ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ তুলে এমপির সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারির ঘটনা ঘটে। সেসময় জিনিসপত্র ভাংচুর করা হয়। উপস্থিত সাংবাদিকদের ছবি না তুলতে হুমকির ঘটনাও ঘটে।
এ ঘটনার বিষয়ে সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ জানান, এমপির গায়ে কেউ ধাক্কা দেয়নি। হয়তো লোকজন বেশী থাকায় ধাক্কা লেগেছে। এতে তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। চার জন আহত হয়েছে শুনেছি। তবে আহতদের নাম ও শারীরিক অবস্থার কথা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
যারা হামলা করেছে তাদেরকে কখনো আওয়ামী লীগ করতে দেখেননি বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ জানান, আমাকে ধাক্কা দিয়েছে সেকথাতো আর আমি বলতে পারি না। এটি দেখে আমার সমর্থকরা একটু ক্ষিপ্ত হয়েছে। কিন্তু আমি দাঁড়িয়ে থেকে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছি।
ঘটনার পর ওই এলাকায় ব্যাপক পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করতে দেখা গেছে। সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) এবিএম মুসা ও মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলম চাঁদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি।
তবে ওসি মো. আলম চাঁদ জানান, সংঘর্ষ হয়নি, ধাক্কাধাক্কি ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জাগরণ/আরকে