সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে হলে নিয়ম অনুযায়ী বিএ পাস হতে হয়। কিন্তু অনেকেই বিএ পাস না করেও কম্পিউটারে এডিট করে বিএ পাশের জাল সার্টিফিকেট দিয়ে সভাপতি হচ্ছেন। এমনই অভিযোগ উঠেছে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ বাগিয়ে নেয়ার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলার মীরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ নেয়ার জন্য তিনি এই পন্থা অবলম্বন করেন।
এর আগে হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে লাশের পকেট থেকে মোবাইল চুরি, আদালতে গিয়ে হট্টগোল করে মামলা ছাড়াই আটক হওয়া, তিন সন্তানের জননীর শ্লীলতাহানীসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব অপকর্মের দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার পরেও তিনি কিভাবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ লাভ করেছেন সেটি অনেকর কাছে বিস্ময়ের।
এছাড়াও তিনি হবিগঞ্জের একটি স্থানীয় দৈনিকের সাংবাদিক হিসেবেও পরিচয় দিয়ে বেড়ান।
এ বিষয়ে মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি সঠিক সার্টিফিকেট দিয়েছি, কেউ দরখাস্ত দিয়ে থাকলে তদন্ত করে দেখা হোক।
এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার শেখ মঈনুল ইসলাম মঈনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্তে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। ৭ দিনের ভেতরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেয়া সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্তে মিজানুরের সার্টিফিকেট জল বলে প্রমাণিত হলে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
জাগরণ/আরকে