• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২২, ০৪:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৩, ২০২২, ০৪:২৬ পিএম

দোহারে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে গণধর্ষণ

দোহারে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে গণধর্ষণ

ঢাকার দোহার উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী কিশোরী এবিষয়ে দোহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। 

রবিবার (৩ এপ্রিল) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের দোহার থানা মামলা করা হয়। উক্ত মামলার ১নং আসামি বাবুল মাঝিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

কিশোরীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ঐ কিশোরী (১৫) এর সাথে উপজেলার বড় রামনাথপুর এলাকার বাদশা মাঝির ছেলে বাবুল মাঝি (২৪) এর প্রেমের সম্পর্ক থাকায় বিভিন্ন সময় মুঠোফোনে কথা এবং দেখা করতো। 

বুধবার (৩০ মার্চ) রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে কিশোরীকে ফোন করে উপজেলার চান্দার বিল ব্রিজের উপরে দেখা করতে বলে বাবুল মাঝি। ঐ কিশোরী রিকশা যোগে রাত প্রায় ১০টার দিকে ঐ ব্রিজে পৌঁছালে বাবুল মাঝি ভাড়া দিয়ে রিকশা চালককে বিদায় করে দেয়। তখন বাবুল মাঝির বন্ধু একই এলাকার বিল্লাল চোকদারের ছেলে শামীম চোকদার (২৩) ও ছোট রামনাথপুর এলাকার মুসলেম শিকদারের ছেলে আবু কালাম (২২) আসে। বাবুল মাঝি তার দুই বন্ধুকে ঐ কিশোরীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে শামীম চোকদার ব্রিজ থেকে কিশোরকে জোরপূর্বক সালামের বাড়ির পাশের আক্কেল আলীর আবাদি জমিতে নিয়ে জোরপূর্বক ১ম শামীম চোকদার পরে আবু কালাম ধর্ষণ করে। বাবুল মাঝি কিশোরীর স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেয় এবং কিশোরী অসুস্থ হয়ে পরায় ধর্ষণ করতে পারেনি।

ঐ সময় কিশোরী বেশি অসুস্থ হয়ে পরায় বাবুল মাঝি ঐ কিশোরীকে তার বাড়িতে নিয়ে রাখে। সকালে ঐ কিশোরী তাদের বাড়িতে ফিরে গিয়ে তার মাকে ঘটনা বলে, পরে তার মায়ের পরামর্শে দোহার থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

এ বিষয়ে দোহার থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজাহারুল ইসলাম জানান, ঐ কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয়া হয়েছে। আসামি তিনজনের মধ্যে ১ম আসামি বাবুল মাঝি (২৪) কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামিদের আটক করার চেষ্টা চলছে।

জাগরণ/আরকে