কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ছেলের ছুরিকাঘাতে আহত পিতার মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় রাজারহাট থানায় মামলা হলেও আসামি ধরা পড়েনি।
পুলিশ ও মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ সেলিম বাজারে রোববার (৩ এপ্রিল) প্রথম রমজানে ইফতার শেষে নিজ ঘরে অবস্থান করছিলেন পয়ার উদ্দিন (৭০)। আকস্মিক ওই ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে সরাসরি পয়ার উদ্দিনের পেটে ছুরিকাঘাত করে তারই নিজ পুত্র আব্দুল জালিল (৩৩)। ছুরিকাঘাতে পেট থেকে ভুরি বেড়িয়ে আসে পয়ার উদ্দিনের।
এসময় স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করায় ছেলে জলিলের ছুরির কোপে তার মা জেলেখা বেগমও (৫৫) আহত হন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা দৌড়ে আসলে পালিয়ে যায় ঘাতক ছেলে আব্দুল জলিল। পয়ার উদ্দিনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে মৃত্যু হয় তার।
জানা যায়, ঘাতক ছেলে আব্দুল জলিল দীর্ঘদিন ধরে বাবার কাছ থেকে নিজের নামে জমি লিখে দেয়ার দাবি করে আসছিল। এরই জের ধরে আব্দুল জলিল তার বাবাকে খুন করার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে।
নিহত পয়ার উদ্দিনের স্ত্রী জেলেরা বেগম বলেন, জলিল তিনটি বিয়ে করেছে একটা বৌও তার সংসার করে না। স্বভাবগত কারনে, সে বিভিন্ন সময়ে তার জমির ভাগ চেয়ে আসছে, সে নাকি ভাগের জমি বিক্রি করে বৌকে ফিরিয়ে আনবে।
তার বাবা জীবিত থাকতে জমির ভাগ দিতে অস্বীকার করলে ক্ষিপ্ত হয়ে জলিল তার বাবার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দিয়েছে।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পয়ার উদ্দিনের মৃত্যুর পূর্বে জোলেখা বেগম বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় তার ছেলের আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। এখন সেটি হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হবে। এছাড়া আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশী প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
জাগরণ/আরকে