হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্রে দুইদিনের ব্যবধানে ৫টি কূপে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়েছে। ফলে বন্ধ থাকা ৬টি কূপের মধ্যে এখন ৫টিই উৎপাদনে এলো। সেই হিসাবে দু’এক দিনের মধ্যে গ্যাসের ভোগান্তি কমে আসবে বলে আশা করছেন বিবিয়ানা কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুর শেভরন বাংলাদেশের মুখপাত্র শেখ জাহিদুর রহমান এসব বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, শেভরন বাংলাদেশ গ্যাসক্ষেত্রে তাদের সম্পূর্ণ কার্যক্রম শুরু করেছে। ছয়টি ক্ষতিগ্রস্ত কূপের মধ্য পাঁচটি থেকে এখন গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়, সোমবার একটি, মঙ্গলবার সকালে দুটি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরও একটি এবং বৃহস্পতিবার একটি কূপ চালু করা হয়েছে। এনিয়ে বর্তমানে পাঁচটি কূপ সচল রয়েছে। সচল হওয়া কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। অবশিষ্ট একটি কূপের কার্যক্রম ফিরিয়ে আনার জন্য প্রকৌশলীরা কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, রবিবার সকালে হঠাৎ বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাসের সঙ্গে বালু উঠে আসে। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে দুটি প্রসেস ট্রেন ও ছয়টি কূপের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিবিয়ানা বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস উৎপাদন ক্ষেত্র। হঠাৎ উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় রবিবার দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে গ্যাসের সরবরাহ কমতে থাকে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রান্না করতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, দেশে দৈনিক ৩৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও শনিবার মোট গ্যাস সরবরাহ করা হয় ২৭৯ কোটি ঘনফুটের মতো। এর মধ্যে বিবিয়ানা থেকে সরবরাহ করা হয় ১১৫ কোটি ঘনফুট। রবিবার দুপুরের পর থেকে বিবিয়ানায় উৎপাদন প্রায় অর্ধেক কমে যায়। এতে বাসার চুলায়, শিল্প কারখানায় ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ কমতে থাকে। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
জাগরণ/আরকে