• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২২, ১১:০৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৮, ২০২২, ১১:০৬ এএম

প্রভোস্টকে লাঞ্চনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

প্রভোস্টকে লাঞ্চনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাবেক শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে শেখ রাসেল হলের প্রভোষ্ট ও একাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো: ফায়েকুজ্জামান মিয়াকে লাঞ্চনা করার ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুর ১২ টায় হল চত্বরের সামনে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্ট ফায়েকুজ্জামান মিয়ার সাথে অশোভন আচরণের তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

মানববন্ধনে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী কারিমুল হক বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে শেখ রাসেল হলে আছি। যেকোনো জাতীয় অনুষ্ঠানসহ ছাত্রলীগের প্রোগ্রামসমূহ শেখ রাসেল হল সবচেয়ে সুন্দরভাবে আয়োজন করে আর এসকল আয়োজনে সবচেয়ে সহযোগিতাপরায়ণ থাকেন ফায়েকুজ্জামান স্যার। আর এই স্যারকে একটা মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিবির ট্যাগ দিতে চাচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সেলিম রেজা প্রভোস্টের সমস্ত কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট এবং তিনি এই হলের প্রাণ দাবি করে বলেন, স্যারকে আমরা একজন শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক হিসেবে দেখে আসছি, একটি গুজব ছড়ানো হয়েছে যে তিনি তার বিভাগের ৪০-৪৫ জন শিক্ষার্থীকে হলে সিট দিয়েছেন কিন্তু সত্যি হলো সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে কৃষি বিভাগের এবং মাত্র ১৮ জন রয়েছে একাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শেখ রাসেল হলটিতে একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের প্রায় ৪৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আমরা মূলত সমস্যার সমাধানের জন্যই গিয়েছিলাম এবং কোনোরূপ জটিলতা তৈরির উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু স্যার আমাদের দেখে কিছুটা উত্তেজিত হলে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়।

এদিকে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মো: ফায়েকুজ্জামান মিয়া বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানতুল্য। প্রভোস্ট হিসেবে তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। তবে রাতের ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক। তারা আমাকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামনে অপমানসূচক কথা বলে লাঞ্চিত করেছে। আশাকরি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যাথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

প্রসঙ্গত, হলের সিট দখল ও হল প্রভোস্টের সাথে অশোভন আচরণকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে প্রায় ২ টা পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয় এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েন করেন।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বর্ধিতকরণ কার্যক্রম নির্মাণাধীন রয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে আবাসন সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও এ আবাসন সংকটের ভিতর ভিন্ন ভিন্ন ছাত্রনেতার হলে সিট দখল করে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা প্রায়ই হয়ে থাকে।

জাগরণ/আরকে