• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২২, ০১:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১১, ২০২২, ০১:৩৭ পিএম

মুগডালে স্বপ্ন বুনছে কৃষক 

মুগডালে স্বপ্ন বুনছে কৃষক 

রিয়াজুল ইসলাম, দুমকি
স্বল্প খরচ আর স্বল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় অল্প পুঁজিতে মুগডাল চাষ করে সফলতার স্বপ্ন বুনছেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুগডাল চাষীরা। 

গত এক দশকে উচ্চ ফলনশীল নানা জাতের বীজ বাজারে আসায় কৃষক খেসারির পরিবর্তে ধীরে ধীরে ঝুঁকে পড়েছে মুগডাল চাষে। উচ্চ ফলনশীল বীজে ফলন বেশি। উৎপাদন খরচ কম। চাহিদাও ব্যাপক। 

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় এবার ৬ হাজার হেক্টর জমিতে মুগডালের চাষ হয়েছে। এতে ১০ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। ক্ষেতভর্তি মুগডালের ফুল ও ফল দেখে এবার কৃষকের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনে আশাবাদী তারা। 

উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মুগ চাষে অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার মুগের বাম্পার ফলনে সম্ভাবনা রয়েছে। 

আরও জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে চাষ, বীজ, সার ও কীটনাশক এবং পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ৫ ইউনিয়নের প্রায় সব জায়গায় কৃষকের বিস্তির্ণ ফসলের মাঠ এখন ফুলে ফুলে সবুজ খেত ভরে গেছে। ফুল ও ডাল দক্ষিণা সমীরণে দোলা দিয়ে যেন ভুলিয়ে দিয়েছে ঘাম ফেলা শ্রমের কষ্ট। মুখে তুলে দিয়েছে প্রাণখোলা হাসি।  

রাজাখালী,চরবয়েড়া, জলিশা, উত্তর মুরাদিয়া, দক্ষিণ মুরাদিয়া  ও লেবুখালি, বাঁশ বুনিয়া  গ্রামে দেখা যায় গাছগুলো বেশ বড়ও হয়ে উঠেছে। এখন মুগ খেতে কীটনাশক এবং ঔষধ প্রয়োগের কাজসহ নানা কাজে ব্যস্ত চাষীরা। উপজেলার ৫ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের খেত ঘুরে এমন চিত্রের দেখা মিলেছে প্রায় সবখানে। 

উপজেলার দক্ষিণ মুরাদিয়া  গ্রামের আ: রাজ্জাক গাজী বলেন, চার বিঘা জমিতে মুগডাল চাষ করেছি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় মুগডাল চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম। দামও ভালো পাওয়া যায়। একটু দেরীতে বিক্রি করলে মণে ২৫০০ থেকে ৩২০০ টাকা পাওয়া যায়। 

উপজেলার রাজাখালী গ্রামের দেলোয়ার হোসেন জাগরণকে বলেন, সরকার থেকে  বীজ, সার ও কীটনাশক যা দেয়া হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। আরও যদি বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়া হয় তবে কৃষকদের ভালো হত। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহের মালিকা বলেন, মুগডাল একটি লাভজনক ফসল। মুগডাল চাষের জমিতে পরবর্তীতে আমন চাষে ইউরিয়া সারের তেমন প্রয়োজন হয় না। মুগডাল চাষের কারণে জমিতে প্রচুর জৈবসারের সৃষ্টি হয়। এর ফলে আমনের ফলন খুব ভাল হয়। 

জাগরণ/আরকে