• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২২, ০৩:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১১, ২০২২, ০৩:২২ পিএম

সেনবাগে প্রাথমিকে ঝুকি নিয়ে চলছে পাঠদান 

সেনবাগে প্রাথমিকে ঝুকি নিয়ে চলছে পাঠদান 

মো: জাহাঙ্গীর আলম 
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৩০নং আহম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুকি নিয়ে শ্রেনী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পাঠ গ্রহণ করছেন ২শত ৭জন শিক্ষার্থী ।

সেনবাগ উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামে ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ৩০নং আহম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। 

বর্তমান বিদ্যালয়টির বয়স ৯৪ বছর। দীর্ঘ ৯৪ বছর বয়সী বিদ্যালয় ভবনটি দীর্ঘ একযুগ আগে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হলেও ওই স্থানে কোন নতুন ভবন নির্মাণ করা না হওয়ায় শ্রেনী কক্ষের অভাব জীবনের ঝুকি নিয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। 

সামান্য বৃষ্টি হলে জরাজীর্ণ ভবনে ছাদ চুইয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গায়ে পানি পড়ে, ভিজে যায় বই, খাতা ও মূল্যবান নথিপত্র। নানাবিধ সমস্যার কারনে বিদ্যালয়টিতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মক ভাবে। বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ইতিমধ্যে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে একাধিকবার শিক্ষা অফিস ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করা হলেও আজ অবদি নতুন ভবন নির্মাণের কোন ঘোষণা আসেনি।

সরেজমিন পরিদর্শন কালে স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোরি শংকর দাস জানান, ১৯২৮ সালে ১৪ শতাংশ জায়গার উপর ৩০নং আহম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ আটজন শিক্ষক ও ২শত ৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টির শ্রেনী কক্ষের কাজে ব্যবহৃত তিনটি ভবনের মধ্যে একটি বড় ভবন দীর্ঘ একযুগ আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বাকী দুইটি ছোট ভবনের স্কুলের অফিস ও শ্রেনী কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। 
দীর্ঘদিনের পুরানো ওই দুইটি ভবনও বেশ জরাজীর্ণ। বৃষ্টি হলে জরাজীর্ণ ভবনগুলোর ছাদ চুইয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গায়ে পানি পড়ে বই কাগজপত্র ভিজে যায়। আসবাব পত্রেরও বেশ সংকট, বিদ্যালয়টির শ্রেনী কক্ষের অভাবে পাঠদান বর্তমানে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট না থাকায় বর্ষা মওসুমে পানি জমে জলাবন্ধতা সৃষ্টি হয়।

আহম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ আলা উদ্দিন তুহিন জানান, বিদ্যালয়টির শ্রেনীকক্ষে সংকট দূরীকরণের লক্ষে পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙ্গে ওই স্থানে নতুন ভবন নির্মাণ করা, আসবাব পত্র সরবরাহ করা, বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ইতিমধ্যে স্কুল কমিটির পক্ষ থেকে একাধিকবার উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়টিতে এখনো নতুন ভবন নির্মাণসহ সমস্যা সমাধানে সরকারি কোন ঘোষণা আসেনি।

যোগাযোগ করা হলে সেনবাগ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: ফজলুর রহমান জানান, বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবন নির্মাণের চাহিদা জানিয়ে ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। তিনি আশা করছেন-খুব শীঘ্রই নতুন ভবন, সীমানা প্রাচীরসহ অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধান হবে।

জাগরণ/আরকে