বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্র থেকে জয়বাংলা শ্লোগান ভিত্তিক বঙ্গবন্ধুর ভাওয়াইয়া গান প্রচার না করে রেকর্ড বাতিলের অভিযোগ তুলেছেন গানটির গীতিকার তৌহিদুল ইসলাম।
অভিযোগে সুত্রে জানা যায়, দেশের জনপ্রিয় ও প্রবীণ ভাওয়াইয়া শিল্পী ভূপতি ভূষণ বর্মা ১৬ ফেব্রুয়ারি স্টুডিওতে গীতিকার তৌহিদ-উল ইসলামের লেখা জয় বাংলার জয় হামার বঙ্গবন্ধু জয় শিরোনামের গানটিসহ আরও দুটি গান রেকর্ড করা হয়। ৫ মার্চ পৌনে ২টায় শিল্পীর রেকর্ডকৃত গান তিনটি প্রচারের সময়ে প্রথম গানটি রেকর্ড বাতিল করে অন্য একটি পুরাতন রেকর্ডকৃত গান বাজানো হয়।
আরও জানা যায়, গীতিকার হিসেবে বেতার এর প্রদত্ত রয়েলেটির হিসাব সংক্রান্ত অনিয়মের জন্য ইতোপূর্বে কয়েকদফা লিখিত অভিযোগ করেছেন এই গীতিকার। সে কারণে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার লেখা গান প্রচার না করে বাতিল করা হয়েছে।
শিক্ষক শিশু সাহিত্যিক ও গীতিকার তৌহিদ-উল ইসলাম জানান ,বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর জয় বাংলা শ্লোগান নিষিদ্ধ হয়েছিল এদেশে। আজ দীর্ঘ সময় অতিক্রম করে যখন জয় বাংলা আমাদের জাতীয় স্লোগানে পরিণত হল ঠিক তখননি স্লোগানকে বন্দি করার চেষ্টা চলছে।
বেতার কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে শিল্পী ভূপতি ভূষণ বর্মা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জানান, তিনি যথারীতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট থেকে গান অনুমোদন করে নিয়ে স্টুডিওতে রেকর্ড করেন। এ গান নিয়ে কোনো সমস্যার কথা সে সময়ে তাকে জানানো হয়নি। প্রচারের সময় প্রথম এ গানটির পরিবর্তে তার রেকর্ডকৃত পুরাতন একটি গান প্রচার করা হয়েছে। সেদিন রেডিও শুনে তিনি মর্মাহত হয়েছেন। তার শিল্পী জীবনের ৪০ বছরে এমন ঘটনা এই প্রথম। তাছাড়া মুজিববর্ষের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে এবং জয়বাংলা জাতীয় স্লোগান হওয়ার প্রেক্ষিতে এ গানটি আমি করেছি। গানটি ভালো করার জন্য আমি অনেক অনুশীলন করেছি। বাইরের স্টুডিওতে রেকর্ড করেছি। গানের সাথে নাচের ভিডিও করেছি। সবশেষে রেকর্ড করেছি রেডিওতে। এ গানটি আমার গাওয়া প্রিয় গানগুলোর মধ্যে ১ টি।
জাগরণ/আরকে