ছেলে তারিফ সর্দারের গোপন বিয়ের কথা জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাবা গোলাপ সর্দার। এতে লোকজন নিয়ে গোলাপ কনে নুপূর আক্তারের বাড়িতে গিয়ে ঝগড়া করেন। একপর্যায়ে নুপূরের নানা নাজিম সর্দার বাধা দিলে দলবলসহ তাকে পিটুনি দেন তিনি। আহত অবস্থায় নাজিমকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সকালে গোলাপের বিরুদ্ধে নিহত নাজিম সর্দারের ছেলে আব্বাস সর্দার এমন অভিযোগ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার চররমনি মোহন ইউনিয়নের মধ্য চররমনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজিম একই এলাকার মৃত হাসু সর্দারের ছেলে। অভিযুক্ত গোলাপ ওই গ্রামের বাসিন্দা নুরা সর্দারের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, ১২ এপ্রিল তারিফ গোপনে একই এলাকার আব্বাস সর্দারের মেয়ে নুপূরকে বিয়ে করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তারিফের বাবা গোলাপ। একপর্যায়ে লোকজন নিয়ে গোলাপ কনের বাড়িতে হাজির হন। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় গোলাপ ও তার লোকজন কনের নানা নাজিমকে বেদম পেটায়। আহত অবস্থায় নাজিমকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে গোলাপসহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। এ কারণে অভিযোগ বিষয়ে কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতাল আনার আগেই নাজিম মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত নাজিমের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। নিহতের পরিবারকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাগরণ/আরকে