সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ‘জিন তাড়ানোর’ নামে নিজ মেয়েকে ঘরের জানালার সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সদ্য অবসরে যাওয়া এক স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। মেয়েটির চিৎকারে পাশের লোকজন পুলিশে খবর দিলে তাকে উদ্ধার করা হয়। পৌর সদরের মির্জাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, থানা পুলিশ ও কলারোয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে মেয়েটিকে হাত বাঁধা অবস্থায় পান।
এলাকাবাসী জানায়, অভিযুক্ত আফরোজা খাতুন (৬০) এবং তার একমাত্র মেয়ে মৌমিতা খাতুন (৩০) দুইতলা বিশিষ্ট একটি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। ২-৩ দিন ধরে ভূতুড়ে পরিবেশের বাড়িটির ভেতরে তালাবদ্ধ রেখে মেয়েটির ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় পাশের বাড়ির লোকজন এ দৃশ্য দেখতে পায়।
মৌমিতা জানান, তাকে প্রায়ই এভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে তার মা। তবে মেয়েটির মা দাবি করেন, মৌমিতার ওপর জিনের দৃষ্টি রয়েছে। জিন তাড়ানোর জন্য এভাবে বেঁধে সারা শরীরে তেল মাখাচ্ছিলেন।
কলারোয়া থানার ওসি নাছির উদ্দীন মৃধা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মা-মেয়ে দু'জনকেই মানসিক প্রতিবন্ধী বলে মনে হয়েছে। তাই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জানা গেছে, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আফরোজা খাতুন ২০১৫ সাল থেকে মেয়েকে নিয়ে এই বাড়িতে বসবাস করছেন। তার শ্বশুরবাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচ কায়বা গ্রামে। তিনি কলারোয়ার কয়লা হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তার স্বামী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন।