শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি
পাহাড়ি ঢল আর টানা ঝড়বৃষ্টিতে শান্তিগঞ্জের ফসল রক্ষা বাঁধে এখন পানি চাপ। দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন বাঁধ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। দ্বিতীয় দফা ঢলের চাপে বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে যেকোন সময় হাওরে পানি ডুকে ফসল তলিয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ৮০ ভাগ ধান পাকলেই তা দ্রুত কাটার আহবান জানিয়ে উপজেলাজুড়ে মাইকিং করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে বাঁধ রক্ষায় উপজেলার সবকটি বাঁধে বাঁধে দিনরাত তদারকি করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন। তারা বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বাঁধ রক্ষায় কৃষকদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। প্রত্যেক হাওরে হাওরে এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী শান্তিগঞ্জে ইতিমধ্যে প্রায় ৪৮ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। হারভেস্টার মেশিন দিয়ে দ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের সার্বক্ষণিক তদারকি অব্যাহত আছে। তবে পাহাড়ি ঢলে নদীর পার্শ্ববর্তী কিছু জায়গায় পাড় উপচে হাওরে পানি ডুকে ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর পরিমান প্রায় ৭৭ হেক্টরের মতো। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকাও তৈরী করছে কৃষি বিভাগ।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান বলেন, প্রত্যেক বাঁধে বাঁধে রাতদিন আমাদের জোর তদারকি অব্যাহত আছে। এখনও কোন বাঁধ ভেঙে যায়নি। সবার সহযোগিতায় এখনো ভালো আছে শান্তিগঞ্জ। এই দুর্যোগ মুহুর্তে জমির ধান ৮০ ভাগ পাকার সাথে সাথেই সবাইকে ধান কাটার অনুরোধ করছি। এখন দ্রুত ধান কাটা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই।
জাগরণ/আরকে