• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২২, ১২:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২২, ২০২২, ১২:২৫ পিএম

কলেজ অধ্যক্ষর ত্বীন ফল চাষে সফলতা

কলেজ অধ্যক্ষর ত্বীন ফল চাষে সফলতা

এম. আব্দুল বাতেন
পবিত্র কোরআনে আত ত্বীন সুরায় বর্ণিত মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীন এখন চাষ হচ্ছে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে। কেশরহাট টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ এজাহারুল হক নিজ উদ্যোগে কলেজের পাশে নিজ জমিতে এই ফল চাষ শুরু করেছেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের পূর্ব পাশের আবাদী জমিতে ছোট ছোট গাছগুলো জুড়ে সারি সারি ত্বীন ফল ধরে আছে। ত্বীন ফলগুলো কাঁচা অবস্থায় সবুজ বর্ণের, যা পাকলে লাল ও মেহরুন কালারের হয়। বর্তমানে ফল দেখতে ভিড় করছেন শতাধীক মুসলিমরা। সঠিক পরিচর্যা দ্রুত ফল পেয়ে খুশি অধ্যক্ষ এজাহারুল হক।

তিনি বলেন, আমি পেয়ারা বিক্রেতা আলমগীরের মাধ্যমে ত্বীন ফলের চারা সংগ্রহ করি। এরপর যত্ন সহকারে কলেজের পাশে আমার ৯ শতক আবাদী জমির মধ্যে রোপন করে অবসর সময়ে নিয়মিত পরিচর্যা করে যাচ্ছি। মাত্র ৪ মাসের ব্যবধানে গাছে ত্বীন ফল পেয়েছি। আগামী ২ মাস পর ফলগুলো পাকলে ফলের স্বাদ উপভোগ করতে পারবো।

কেশরহাট টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট  কলেজের শিক্ষানুরাগী সদস্য রুস্তম আলী প্রাং বলেন, ত্বীন পাকা ফল খেতে বেশ সুস্বাদু ও মিষ্টি। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ক্যালিসিয়ামসহ নানা ভেষজ গুণ। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ও হাঁপানি রোগ নিরাময় ও মানু‍সিক ক্লান্তি দূর করে। কলেজের পাশে হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে যুব সমাজের উন্নয়ন ঘটাবে বলে আমি মনে করছি।

মোহনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন বলেন, ত্বীন একটি সম্ভাবনাময় ফসল, যা চাষ করে দেশের বেকরাত্ব দূর এবং রপ্তানি করে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। ত্বীন গাছে রোগ-জীবাণু সংক্রমণের মাত্রা একদমই কম। কেউ ত্বীন ফল চাষ করতে আগ্রহী হলে আমরা সর্বদা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবো।

জাগরণ/আরকে