• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২২, ০১:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২২, ২০২২, ০১:৫১ পিএম

কটিয়াদীতে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হুমকী 

কটিয়াদীতে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হুমকী 

কটিয়াদী প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের মঞ্জিলের কান্দার আনোয়ার আলী মারাজকে ৭ সাত দিনের ভিতর বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে যেতে মোবাইলে হুমকী দেন, উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান। তার নিজের বাড়ি দাবি করে বলেন - উক্ত সময়ের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে না গেলে, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করা হবে। পরে মো. আনোয়ার আলী মারাজ বাদী হয়ে ৪ এপ্রিল কটিয়াদী মডেল থানায় অভিযোগে করেন।

এ ব্যাপারে বাদী আনোয়ার আলী মারাজ জানান,  ৫৭ শতাংশের বাড়ি ও পুকুর ক্রয় সূত্রে নিজের। এ ব্যাপারে বাড়ি এবং জায়গা নিয়ে মুর্শিদ ভূঞা গংদের সাথে মোকদ্দমা চলছে। বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে  ১ম পক্ষের মুর্শিদ ভূঞা সময়ের আবেদন উপাদান না থাকায় সময় না মঞ্জুর করা হয় এবং মোকদ্দমা নথিজাত করা হয়। আনোয়ার আলী ভূঞা মারাজ বাদী হইয়া বিজ্ঞ কটিয়াদী সহকারী জজ আদালতে কিশোরগঞ্জ মোকদ্দমা চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মোকদ্দমা করেন। 

বিবাদী মুর্শিদ ভূঞার ভূমির কোন সত্ব নাই। মুর্শিদ মিয়ার পিতা মৃত মুঞ্জিল ভূঞা ভূমি বিক্রয় করে মৃত্যুবরণ করেন। সুতারাং আমি জমি ও বাড়ির মালিক জানিয়ে আনোয়ার আলী মারাজ আরও বলেন, গত সপ্তাহ ব্যাপী গাছের ব্যাপারী লাগাইয়া সব গাছ কাটিয়া নিয়া যাচ্ছে। আমি অসহায় হয়ে কটিয়াদী মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। বিবাদীরা বাদীর বাড়ির চার কোণে লাল পতাকার খুঁটি দিয়েছে। 

কটিয়াদী মডেল থানার অভিযোগের বিবাদী চান্দপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি ঐ বাড়ির মালিক নই। তবে আমাকে জনপ্রতিনিধি হিসাবে মানুষের সুবিধা অসুবিধা দেখতে হয়। 

কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদৎ হোসেন জানান, অভিযোগটি চান্দপুর ভাট্টা হাওর এলাকার। কাজেই তদন্ত পূর্ব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভাট্টা ফাঁড়ি থানার আইসির কাছে পাঠিয়েছি। 

কটিয়াদী ভাট্টা থানার আইসি আনিসুলের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগের কোন নম্বর না থাকায় আমি কিছু বলতে পারছি না। 

জাগরণ/আরকে