• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২২, ০৪:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২২, ২০২২, ০৪:০৫ পিএম

মিরসরাইয়ে বিদ্যুৎহীন ৫ শতাধিক পরিবার

মিরসরাইয়ে বিদ্যুৎহীন ৫ শতাধিক পরিবার

মিরসরাইয়ে কালবৈশাখীর তান্ডবের পর ৪৮ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎহীন ৫ শতাধিক পরিবার। এ দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার বেশ কিছু এলাকার মানুষ।

জানা গেছে, বুধবার (২০ এপ্রিল) সকালে কালবৈশাখীর তান্ডবে বিদ্যুৎ লাইনে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ সরবরাহ। টানা ৪৮ ঘন্টার অধিক সময় ধরে বিদ্যুতবিহীন উপজেলার বেশ কিছু এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার।

মিরসরাই উপজেলার কচুয়া গ্রাম, ভূঁইয়া তালুক (পশ্চিমাংশ), দরগাহপাড়া, উকিলটোলা, শেখটোলা, সাদুরবাজার, ভোরবাজার, বানাতলী সহ বেশ কিছু অঞ্চলের ৫ শতাধিক  পরিবার এ দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিহীন। 

বিদ্যুৎ লাইনে গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে থাকলেও লাইন সংস্কারের কোন খবর নেই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের। এমনটা অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা। গ্রাহকের অভিযোগ ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছে না।

উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের উকিলটোলা গ্রামের শিক্ষক মামুন অভিযোগ করে বলেন, আমার বাড়ির পাশে গাছ ভেঙে লাইনে পড়ে আছে। বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ নাম্বারটা ব্যস্ত পাওয়া যায়। আমি প্রায় ২০০ অধিক ফোন দিয়ে ১ বার কথা বলতে পেরেছি। অভিযোগ দিলে তারা জানায় লাইন সংস্কারে লোক পাঠাবে। কিন্তু সংস্কার হয়নি।

তিনি আরো বলেন, রমজান মাসে তারাবি নামাজের সময় গরমে আমাদের নাজুক অবস্থা। মানুষজন গরমে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারছেনা।

কচুয়া এলাকার এক ব্যবসায়ী রহিম জানায়, এত দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছি। ফ্রিজের সব জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে। বিদ্যুতের এ বিভ্রাটে আমার মতো আরো অনেক ব্যবসায়ী লোকসানের কবলে পড়েছে। রমজানে বেচাবিক্রি হয় সন্ধ্যার পর। কিন্তু অন্ধকারে তো দোকান করা সম্ভব না। কেরোসিন বাতিতে কোনমতে দোকান চালাচ্ছি।

শিক্ষার্থী আরাফাত রাজু বলেন, আমরা রাতে পড়াশোনা করতে পারছিনা। গরমে অস্থির লাগছে।

যোগাযোগ করা হলে মিরসরাই পল্লী বিদ্যুৎ-৩ এর ডিজিএম সাইফুল আহমেদ বলেন, মিরসরাইয়ে কালবৈশাখীর তান্ডবে বিদ্যুৎ লাইনের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় হলেও এতো ক্ষতি হয় না। আশা করছি দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দিতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, পাশ্ববর্তী উপজেলাগুলো থেকে তিন জন ইঞ্জিনিয়ার আনা হয়েছে।

জাগরণ/আরকে