• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২২, ০৩:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৩, ২০২২, ০৯:৪৪ পিএম

দুমকিতে প্রতিপক্ষের কামড়ে আহত ৬ 

দুমকিতে প্রতিপক্ষের কামড়ে আহত ৬ 

পটুয়াখালীর দুমকিতে জমিজমার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে 'কুত্তা কালাম' বলে গালি দেয়ায় কামড়িয়ে একই পরিবারের ৬ জনকে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। 

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৪ টায় উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ঝাটরা গ্রামে সত্তার শিকদার এর বাড়ির উঠানে উক্ত ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন- সত্তার শিকদার এর স্ত্রী মাসুদা বেগম (৫০) মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (২০), ছেলে আল আমিন এর ৬ মাসের শিশু পুত্র রাইয়ান, সাইদুল  শিকদার এর ছেলে শাকিল (১৪) আনোয়ার শিকদার এর স্ত্রী লাভলী (২৭) সুলতান শিকদারের ভাগ্নে কাজল হোসেন এর মেয়ে তাসমিম (১২)। 

এলাকাবাসী সূত্রে  জানা যায়, ঘটনার দিন বিকেলে কালাম সর্দার জব্বার মাস্টারের বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় অন্য বাড়ির বাবুল হাওলাদারের ছেলে বিজয় তাকে কুত্তা কালাম বলে ডাক দেয়। এরপর বাড়িতে গিয়ে কালাম সর্দার তার মেঝ ভাই সালাম সর্দারকে বিষয়টি বলেন। এতে শিকদার পরিবারের লোকদের সন্দেহ করে ও ক্ষিপ্ত হয়ে মো: কালাম সর্দার (৫০), কালাম সর্দার এর স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪৫), মেয়ে সীমা বেগম (৩০), সুখী বেগম (২০), ছোট জামাই মো: মাইদুল ইসলাম (৩০), সালাম সরদার (৬০), সালাম সর্দার এর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৫০), মেয়ে মানসুরা বেগম (২২) ও মনি আক্তার (১৫) বাড়ি এসে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ আসে এবং আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চার জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে এবং বাকি দু'জন গুরুতর আহত বলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: মিজান সর্দার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সালাম ও কালাম এর পরিবার অত্যন্ত খারাপ। এরা বিগত দিনেও মৌলভী আ: বারী, খালিদ হোসেন ও সোবহান সর্দারকে কামড়িয়েছে। 

আনোয়ার শিকদারের স্ত্রী লাভলী বেগম বলেন, পাশের বাড়ির একটা ছেলে কালাম সর্দারকে গালি দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। আর মনে মনে ধারণা করেন যে এটা আমরা ওই ছেলেকে শিখিয়ে দিয়েছি। তাই আমাদের বসতঘর ভাঙচুরসহ আমাদের ৬ জনকে কামড়িয়ে আহত করেছে। 

মারামারির কথা স্বীকার করলেও কামড়ানোর কথা অস্বীকার করে সালাম সর্দার এর মেয়ে মানসুরা আক্তার বলেন, কিছু দিন আগে আমার বাবা ও কাকাকে ওরা সন্ত্রাসী দিয়ে মেরেছে এবং আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে। উক্ত ঘটনায় আমাদের লোকজনও আহত হয়েছে। 

দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুস সালাম বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

 

জাগরণ/আরকে