জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব স্বচক্ষে দেখতে ডেনিস রাজকন্যা ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন সাতক্ষীরার শ্যামনগরে হেলিকপ্টারে উড়ে আসছেন। তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন ডেনিস রাজকন্যা। এই তিন দিনের পুরো একটি দিন সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ব্যস্ত সময় কাটাবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে ঠিক কী ধরনের প্রভাব বাংলাদেশের ওপরে পড়ছে তা দেখতে তিনি সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিদর্শনে আসবেন। সেখান থেকে সুন্দরবন ভ্রমণেও যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে ডেনমার্কের রাজকুমারীর।
ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসনের সুন্দরবন ভ্রমণটি মূলত তার বাড়তি অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করবে। জলবায়ুর পরিবর্তন সেখানে কী ধরনের সংকট তৈরি করেছে এবং সেখানকার অধিবাসীদের জীবনযাত্রাকে কতটা প্রভাবিত করেছে সেটি কাছ থেকে দেখতে চান তিনি।
বাংলাদেশ সফররত ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন ২৭ এপ্রিল সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আসছেন। জেলা তথ্য অফিস থেকে সংবাদকর্মীদের কাছে পাঠানো সফরসূচি অনুযায়ী, আগামী বুধবার সকালে এক দিনের সফরে রাজকুমারী উপজেলার সুন্দরবনের কোলে গড়ে ওঠা ‘আকাশ লীনা ইকো ট্যুরিজম’ ইকোপার্কে যাবেন। রাজকুমারী ম্যারিকে স্বাগত জানাতে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সরেজমিন প্রস্তুতির কাজ দেখাশোনা করছেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। পুরো বিষয় তদারকি করছেন মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা অসীম কুমার মৃধা।
সফরসূচি অনুযায়ী, রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টায় শ্যামনগরের টাইগার পয়েন্টে হেলিকপ্টার থেকে নামবেন। এরপর গাড়িতে করে তিনি শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সুন্দরবন সংলগ্ন কুলতলী গ্রামে যাবেন। পরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট উপকূলীয় ওই জনপদে হাঁটবেন এবং গ্রামের নর নারীদের সঙ্গে কথা বলবেন। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর বসবাস এলাকায় সাইক্লোন শেল্টার ও বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করবেন এবং বাঁধের পাশে বসবাসকারী প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন। দুুপুুরে তিনি স্থানীয় বরসা রিসোর্টে মধ্যহ্নভোজ করবেন। এর আগে তিনি সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। এ ছাড়া তিনি সুন্দরবন ভ্রমণ করবেন এবং বন বিভাগের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলবেন। রাজকুমারীর আগমন ঘিরে শ্যামনগরে সাজসাজ রব পড়ে গেছে। কুলতলী এলাকার ইটের সোলিং রাস্তা দ্রুত মেরামত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। বহুদূর বিস্তৃত নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে জনসাধারণের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। এলাকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
এসকেএইচ//