জামালপুরের মেলান্দহের পুর্ব মালঞ্চ গ্রামে ধান খেতে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে রিনা বেগম নামে এক নারীকে লাঠি, রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেদড়ক পিটিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তার স্বামী দুদু মিয়াকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তারা। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নির্যাতনের শিকার রিনা বেগমের ভাই রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে আবু বক্করসহ ৫ জনকে আসামি করে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেছে বলে জানিয়েছেন মেলান্দহ থানার ওসি মাঈদুল ইসলাম।
হাসপাতালের বেডে ব্যাথায় কাতরানো অবস্থায় দুদু মিয়া বলেন, তার সাথে প্রতিবেশী আবু বক্করের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সন্ধায় আবু বক্করের ধান খেত আমার পালিত হাঁস যায়। এই নিয়ে তর্ক বিতর্কের সময় আবু বক্করের ছেলে হুোসাইন মাহমুদ গাজীসহ তার স্বজনরা রামদা, লাঠি ও রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে বেদম পেটাতে শুরু করলে আমার স্ত্রী রিনা বেগম ফেরাতে গেল তাকেও মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদের রাত ৮টায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। নির্যাতনের শিকার রিনা বেগম হাসপাতালের বেডে তীব্র ব্যাথার যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে।
ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে তিনি বলেন, আমি রোজা ছিলাম। তাদের হাতে পায়ে ধরে বলেছি, আমি ও আমার স্বামী রোজা রেখেছি। আমাদের মাইরেন না। তারা কোন কথা না শুনে আমাদের এলোপাথারী মারধর করে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। আমাদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
আবু বক্করের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মেলান্দহ থানার ওসি মাঈদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মেলান্দহ থানায় ৫ জন নামীয়সহ আজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জাগরণ/আরকে