• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২২, ০২:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৫, ২০২২, ০২:২৩ পিএম

চৌগাছায় ফের বালু উত্তোলন

চৌগাছায় ফের বালু উত্তোলন

যশোরের চৌগাছায় উপজেলা প্রশাসন এবং আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সরকারি খাস খতিয়ান এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি থেকে জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। 

চৌগাছার জাগদীশপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ হেল কাফি ওরফে পিন্টুর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী সাখাওয়াত হোসেন লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং চৌগাছা থানার ওসিকে জানিয়েছেন। তবে কোন কিছুকেই তোয়াক্কা না করে পিন্টু বালু তোলা অব্যাহত রেখেছেন। ফলে প্রশ্ন জেগেছে কাফি পিন্টুর ক্ষমতার উৎস কোথায়?

সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তিনি চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে ২০২১ সালের ৮ জুলাই বালু উত্তোলনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রশাসন ঘটনার সত্যতা পেয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে কিছুদিন বালু তোলা বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন বন্ধ রেখে ১০ আগস্ট থেকে আবারও বালু তোলা শুরু করে কাফি পিন্টু। পরে ১৪ আগস্ট তিনি অবৈধ ও জোর পূর্বক বালু তোলার বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনের পরও বালু উত্তোলন না থামালে ২৩ আগস্ট তিনি যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমলী খতিয়ান মামলা করেন।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি শুনানি করে ওই স্থানে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে চৌগাছা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পরে চৌগাছা থানার ওসির নির্দেশনায় পুলিশ আব্দুল্লাহ হেল কাফি পিন্টুকে আটক করে এবং শালিস বিচারের মাধ্যমে কাফি পিন্টু অঙ্গীকার করে ওই স্থান থেকে আর বালু উত্তোলন করে বিক্রি করবে না এবং আমার জমির যে অংশ থেকে মাটি বিক্রি করে ক্ষতি করেছে তার পরিবর্তে কাফি পিন্টুর পার্শ্ববর্তী জমি থেকে সমপরিমাণ অংশ আমার নামে রেজিষ্ট্রি করে দেবে। আমার জমিতে বসত বাড়ি থাকায় পরবর্তীতে যাতে কোন প্রকার ক্ষতি না হয় সেজন্য আমার জমির পাঁচ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে একটা পাড় বেধে দেবে। 

অভিযোগে আরও বলা হয় আব্দুল্লাহ হেল কাফি পিন্টু তার দেয়া লিখিত অঙ্গীকার পুরণ তো করেনই নি। গত প্রায় দুইমাস ধরে তিনি আবারও ওই স্থান থেকে বালু তুলে বিক্রি করছেন। এতে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয় ওই জমি নিয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের অঘটন বা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে যেতে পারে।

এবিষয়ে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে পিন্টুকে বালু তোলা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাকে নিষেধ করা হলে তিনি কিছুদিন বালু তোলা বন্ধ রাখেন। কিছুদিন পর আবারও বালু তোলা শুরু করেন।

জাগরণ/আরকে