ঈদের আর মাত্র ৬দিন বাকি। এরই মধ্যে ঘরমুখী মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে। ২১ জেলার মানুষ ও যানবাহন পারাপারে ঈদের আগে ঘরে ফেরা মানুষের জন্যে ভোগান্তি রোধে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা থাকলেও এ ঈদে তেমন কোন প্রস্তুতি দেখা যায়নি। ফেরি বাড়ানো ও ফেরি ঘাটের সংখ্যা বাড়ানোর কথা থাকলেও এখনও এর কোনটিই বাড়াতে পারেনি বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বরং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আরো দুটি ফেরি মেরামতে পাঠানো হয়েছে।
২১ ফেরি চলাচলের ঘোষণা দেওয়া হলেও দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে আরো দুটি কমে বর্তমানে ১৭ ফেরি চলাচল করছে। এর মধ্যে দুটি টানা ফেরি বিকেলের পর থেকে বন্ধ রাখা হয়। রাতে ১৫টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হয় যানবাহন। এমনিতেই ঈদের আগে যানবাহনের চাপ কয়েকগুন বেড়ে যায়, তারপর আবার ফেরির সংখ্যা রয়েছে কম। এ কারণেই প্রতিদিন তৈরী হচ্ছে যানজট।
এদিকে ঈদের পাঁচদিন আগে ও পাঁচদিন পরে পন্যবাহী ট্রাক বন্ধের ঘোষণা থাকার কারণে কয়েকদিন ধরে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়ার উভয় মহাসড়কে ফেরি পার হতে ট্রাকের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে ৫ নং ফেরি ঘাট থেকে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ও গোয়ালন্দমোড় মহাসড়কে ৮ শতাধিক যানবাহন যানজটে আটকা পরেছে, এর মধ্যে বেশি রয়েছে পন্যবাহী ট্রাক।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, ঈদের আগে ও পরের ১০ দিন পন্যবাহী ট্রাকের পারাপার বন্ধের কারণে ফেরি ঘাটে ট্রাকের সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুন। একারণে তৈরী হচ্ছে যানজট। এদিকে ফেরি বাড়ানোর কথা থাকলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে দুটি ফেরি মেরামতে পাঠানোর কারণে ফেরির সংখ্যা কমে গেছে। ঈদের তিন চারদিন আগে এ নৌরুটের বহরে ফেরি যোগ হবে।
জাগরণ/আরকে