• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৩, ২০২২, ১০:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩, ২০২২, ১০:০৩ পিএম

কৃষক হত্যা মামলায় ৫ আসামি গ্রেপ্তার

কৃষক হত্যা মামলায় ৫ আসামি গ্রেপ্তার
ছবি- জাগরণ।

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি// 
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ছুরিকাঘাতে কৃষক ফরিদ মিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩৯ জনের নামের থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডে এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ। নিহত ফরিদ মিয়া উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।

সোমবার (২ মে) রাতে নিহতের সহোদর কামাল হোসেন বাদী হয়ে ভাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলার রসুলপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে গোলাম হোসেনকে প্রধান আসামি হিসাবে অভিযুক্ত করে ৩৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আমির হোসেন, ইসমাইল, মন্নাফ মিয়া, দুলাল মিয়া ও নাসির উদ্দিন।

মামলা ও নিহত কৃষক ফরিদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গ্রামের পরাজিত ইউপি সদস্য নবী হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক পূর্ব বিরোধের জের ধরে গ্রামের রজব আলীর ছেলে গোলাম হোসেনের নেতৃত্বে গোলাম হোসেনের বাড়ির সামনে ফরিদকে আটক করে সোমবার দুপুরে মারপিট করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ফরিদকে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে গেলে প্রতিপক্ষ গোলাম হোসেনের নেতৃত্বে থাকা ২০-২২ জনের একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ ফের দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে ফরিদ ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।

ওই হামলার সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ফরিদ জখম হন। এরপর সহোদর বড় ভাইকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে ছোট ভাই জাকির হোসেনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। দুই সহোদরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরিদকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঈদুল ফিতরে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে বাজারে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের ছুরির আঘাতে তাহিরপুরের রসুলপুর গ্রামের ফরিদ মিয়া (৩০) খুন হন।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছেন।


এসকেএইচ//