• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৭, ২০২২, ১২:২৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৭, ২০২২, ১২:২৪ এএম

বাঘ আতঙ্কে ৫ গ্রামের মানুষ

বাঘ আতঙ্কে ৫ গ্রামের মানুষ

বাগেরহাটের শরণখোলায় বাঘ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পাঁচটি গ্রামের মানুষ।

গত দুই মাসে সুন্দরবন বন সংলগ্ন গ্রামে বাঘ ঢুকে তিনটি মহিষ ও চারটি গরু মেরে ফেলেছে। প্রায় প্রতিদিনই  রাতে বাঘের হানা পড়ছে গ্রামগুলোতে। ব্যাহত হচ্ছে মানুষের পশুপালন, চলাফেরাসহ শিশুদের স্কুলে যাওয়া।

স্থানীয়দের দাবি, ভোলা নদী নাব্যতা হারিয়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রায়ই গ্রামে বাঘ ঢুকে পড়ছে।

যেসব এলাকায় প্রায়ই বাঘের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে সেগুলো হলো— সুন্দরবন তীরবর্তী দাসের ভাড়ানী, মধ্য রাজাপুর, উত্তর রাজাপুর, নাংলী ও টগরাবাড়ি।

স্থানীয়রা জানান, পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ও ধানসাগর স্টেশন এলাকার প্রায় ৩০ কিলোমিটার লম্বা ভোলা নদী নাব্যতা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে নদীর প্রায় ১০ কিলোমিটার জায়গা সম্পূর্ণ ভরাট হয়ে গ্রামের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় প্রায়ই বাঘ গ্রামে ঢুকে পড়ছে।  

তারা জানান, গত  ৫ মে সন্ধ্যায় ধানসাগর গ্রামে একটি বাঘ ঢুকে পড়লে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মসজিদ থেকে মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। 

এর আগে গত ২৫ মার্চ  রাতে উত্তর রাজাপুর গ্রামের জলিল মাস্টারের বাড়িতে একটি বাঘ চলে আসে। বাঘের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

গত ২৬ এপ্রিল বিকেলে টগরাবাড়ি এলাকার আবদুল আজিজের একটি গরু ঘাস খাওয়া অবস্থায় বাঘ আক্রমণ করে। গরুটির চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে বাঘটি বনে পালিয়ে যায়। 

গত ১৫ এপ্রিল সকালে বনের নাংলী এলাকায় একটি বাঘ দুটি হরিণকে তাড়া করলে হরিণ দুটি ভয়ে লোকালয়ে চলে আসে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বনবিভাগ হরিণ দুটিকে বনে ফিরিয়ে দেয়।

মধ্যরাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুক্তা জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী বাঘের ভয়ে স্কুলে যেতে পারছেনা। সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়েও অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় থাকছেন।

স্থানীয়দের দাবি— সুন্দরবনের ধানসাগর এলাকার ভরাট হয়ে যাওয়া খাল পুনঃখনন করলে বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। 

ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ঘুম থেকে উঠেই স্থানীয়রা উঠানে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় কয়েকটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের যাওয়া-আসা সীমিত হয়ে গেছে। বনবিভাগ, ওয়াইল্ড লাইফ ও সিপিজির সদস্যরা বাঘের কোনও ক্ষতি না করে গ্রামের মানুষকে রাতে ঘর থেকে বাহির না হতে এবং দলবদ্ধভাবে পথচলতে পরামর্শ দিয়েছেন।

জাগরণ/স্বদেশ/এসএসকে