চাকরির কথা বলে স্ত্রীকে ভারতে নিয়ে যান স্বামী কামরুল ইসলাম। সেখানে স্ত্রীকে বিক্রির চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। বিক্রি করতে না পেরে বাসায় ফিরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর দেশে ফিরে স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেছেন বলে প্রচার করতে থাকেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। ধরা পড়েছেন পুলিশের হাতে।
বুধবার মধ্যরাতে যশোর সদরের বসুন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৩০ বছর বয়সী কামরুল সদর উপজেলার বানিয়ারগাতী গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। তার স্ত্রীর নাম সালমা খাতুন। ২৪ বছরের সালমার বাবার নাম শহিদুল ইসলাম।
জেলা ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, ১৫ এপ্রিল সালমাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতের গুজরাটে নিয়ে যান কামরুল। এরপর ৮ মে স্ত্রীকে ছাড়াই দেশে ফেরেন তিনি। দেশে ফেরার পর সালমার ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন কামরুল। এছাড়া ভারতে সালমার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ পান তারা। এতে স্বজনদের সন্দেহ হয়। পরে গতকাল বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন সালমার বাবা শহিদুল ইসলাম।
ওসি আরো জানান, ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় রহস্য উদঘাটন ও ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের দায়িত্ব পায় কোতোয়ালি থানা ও ডিবি পুলিশ। পরে তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর পুলিশ জানতে পারে- সালমাকে ভারতের গুজরাটে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা করে দেশে পালিয়ে আসেন কামরুল। বুধবার রাতে বসুন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে কামরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা করে পালিয়ে আসার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
ইউএম