গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস-প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজনসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। তাদের মধ্যে ১২ জন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকি ১০ জন প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
শনিবার (১৪ মে) সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দক্ষিণ ফুকরা এলাকায় এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে একটি প্রাইভেটকারে করে চিকিৎসক বাসুদেব সাহা তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন। এ সময় বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ঢাকাগামী রাজিব পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস অপর একটি মোটর সাইকেলকে সাইড দিতে গেলে প্রাইভেটকারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে মহাসড়কের পাশে ধান মাড়াইরত মেশিনের ওপর ছিটকে পড়ে এবং যাত্রীবাহী বাসটি গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে পড়ে। এতে চিকিৎসক বাসুদেব সাহা, তার স্ত্রী ও সন্তানসহ ৭ জন ঘটনাস্থলে নিহত হন। অপর একজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। দ্রুতগতি ও মহাসড়কের উপর ধান মাড়াই করার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গেয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় নিহত ও আহতদেরকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল পাঠায়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা ও কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসানসহ জেলা ও পুলিশ প্রসানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সড়ক দুর্ঘটনার পর ঢাকা-খুলনা সহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
দুর্ঘটনার বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক জাহিদা সুলতানা। নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে এবং আহতদেরকে ৫ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।