টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আধঘণ্টার মধ্যে দুধের গাভীসহ এক নারী খামারির ৭ গরুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা।
শুক্রবার (১৪ মে) দিনগত রাতে মির্জাপুর পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ৭ গরুর এমন রহস্যজনক মৃত্যুতে এলাকার গরুমালিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী আমিনুর রহমানের স্ত্রী ইলা বেগম বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ৫ বছর আগে নিজ বাড়িতে একটি গরুর খামার করেন। সেখানে তিনি হলিস্টান ফ্রিজিয়ান, অস্ট্রেলিয়া ও দেশি প্রজাতির দুধের গাভীসহ ৯টি গরু লালন পালন করতেন। খামারটিতে তিনি নিজেই ঘাস চাষ এবং কেটে আনতেন। ঘাষ খাওয়ানো থেকে শুরু করে গরুগুলোকে নিজেই গোসল, গোয়াল ঘর পরিষ্কার করতেন। প্রতি বছর এই খামার থেকে কোরবানির আগে ৩/৪টি করে ষাঁড় গরু বিক্রি করতেন। গত দুই বছর আগে তিন লাখ টাকা দিয়ে একটি ইলস্টান ফ্রিজিয়ান গাভী কেনেন। ওই গাভী প্রতিদিন ১৫ লিটার দুধ দিত। এতে তার সংসারের আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ দুধের গাভীটি মারা যায়। এরপর আধঘণ্টার মধ্যে একে একে একটি গর্ভবতী গাভীসহ আরও ৫টি ষাঁড় মারা যায়। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইলা বেগম।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলী আজম খান জানান, আধঘণ্টার মধ্যে ৭টি গরুর মৃত্যুতে সর্বশান্ত হয়েছেন মালিক ইলা বেগম। আর এ ঘটনার পর ওই গ্রামের খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ইলা বেগম জানান, বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে গত ৫ বছর আগে খামারটি করেছিলেন। খামারে একটি দুধের গাভীসহ ৯টি গরু ছিল। সেগুলোকে নিজ সন্তানের মতো যত্ন করতেন। আধঘণ্টার মধ্যে ৭টি গরুর মারা যাওয়ায় সর্বশান্ত হয়ে গেছেন।
মির্জাপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টির পরে গজানো ঘাসে ন্যাট্রিক এসিড থাকতে পারে। এ ধরনের ঘাস খেয়ে গরুগুলোর মৃত্যু হতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ জানতে মৃত গুরুগুলোর মাংস ঢাকায় পাঠানো হবে। এছাড়া খামারের মালিক ইলা বেগম আর্থিকভাবে মারাতমক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাকে আর্থিক সহায়তার চেষ্টা চলছে।