উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কিশোরগঞ্জে হাওরের পানি দ্রুত বাড়ছে। ইতোমধ্যে জেলার ৭টি উপজেলার ৬২টি ইউনিয়নে প্রায় দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে জেলায় পানিবন্দি প্রায় আড়াই লাখ মানুষ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, করিমগঞ্জ, নিকলী, বাজিতপুর, তাড়াইল ও ভৈরবসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, হাট-বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে।
বলেন, উজানের পানি দ্রুত হাওরে প্রবেশ করছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ১৪০ টন চাল, দুই হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট ও আড়াই লাখ টাকার জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৬ টন চাল ও নগদ এক লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যা দুর্গতদের জন্য ২৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব কেন্দ্রে ৩ হাজার ১৩৮টি পরিবারের প্রায় ১২ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।