কুমিল্লার বরুড়ায় বিয়ের ১৬ মাসের মাথায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন কাউছার আলম নামে এক যুবক। তবে আত্মহত্যার আগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনে ডায়েরিতে লিখে গেছেন তিনি।
রোববার উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কাউছার একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
ডায়েরির পাতায় কাউসার লিখেন, ’২০ জুন রাত ১টা ৩০ মিনিটে রবিউল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। কথা বলা শেষ হলে আমি ঘরে আসি। তখন দেখি হাসাহাসি করে লিজা কোনো এক ছেলের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছে। তাকে সবকিছু খুলে দেখাচ্ছেও। আমি এখন কি করবো! আমার মাথায় কিছু কাজ করে না। কারে কি বোঝাবো। আমি এসব দেখার পর মরে যাইতে চাইতেছি। এরপরও নিজেকে বুঝাতে পারি নাই। কারণ আমি নিজের চোখে দেখেছি তাই। আমি মান পাই নাই। জীবনের গল্প শেষ করে দিলাম। কারণ হলো যাকে ভালোবাসছি সে আমার সঙ্গে এমন করলো।’
কাউছারের বাবা আবুল কাশেম বলেন, পাঁচ বছর প্রেমের পর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে একই গ্রামের লিজা আক্তারের সঙ্গে কাউছারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর মেয়েকে নিয়ে যান বাবার বাড়ির লোকজন। কয়েক মাস ধরেই বাবার বাড়িতে থাকছেন লিজা। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে ছেলেটি। কদিন আগে লিজাকে দেখতে শ্বশুরবাড়িতে যায়। ওই বাড়িতে যেতেই লিজাকে ভিডিও কলে কোনো এক ছেলের সঙ্গে কথা বলতে দেখে কাউছার। এরপর কষ্টে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসে ছেলেটি। শনিবার আত্মহত্যার আগে নিজের ডায়েরিতে লিজার বিরুদ্ধে এসব কথা লিখে যায়।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের পাশে একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।