ভয়াবহ ভাঙ্গনের শিকার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। বিগত ৫০-৬০ বছরেও দেখা যায়নি সৈকতের এমন চেহারা। লাবণীসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
লঘুচাপ এবং পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে শুরু করে ভাঙন পৌঁছেছে কলাতলী পর্যন্ত।
ফুঁসে উঠা সমুদ্রের ঢেউ লাবনী পয়েন্টের বালিয়াড়িতে আঘাত করতে শুরু করে বুধবার থেকে। এক একটি ঢেউয়ের তোড়ে খণ্ড খণ্ড হয়ে ধসে বিলীন হচ্ছে সাগর পাড়।
বিশেষ করে সৈকতে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য আকর্ষণীয় লাবনী পয়েন্টে ভাঙন সবচেয়ে বেশি। তীব্র ভাঙনের কারণে ক্ষতবিক্ষত সৈকত যেন শ্রীহীন হয়ে পড়েছে।
হেলে গেছে টুরিস্ট পুলিশের হেল্প ডেস্ক। শুধু তাই নয়, ভাঙনে ঝুঁকির মুখে পড়েছে জেলা প্রশাসনের নির্মিত সৈকতের উন্মুক্ত মঞ্চ।
কক্সবাজার শহরের বাসিন্দারা বলছেন, শহরের পাশের সাগরে ঢেউয়ের এমন তাণ্ডব তারা আগে কখনো দেখেনি। তাদের দাবি, অপরিকল্পিত বালুর বাঁধের কারণে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) রাতে, জেলা প্রশাসক আসেন সৈকত পরিদর্শনে। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বললেন, খুব শিগগির জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হবে।
কিছু কিছু জায়গায় জরুরি ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালু ভর্তি জিও টিউব দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করলেও প্রকৃতি এসব বাধা মানছে না।
ভাঙনের কারণে সৈকত শ্রীহীন এবং চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লেও পর্যটকের ভিড় রয়েছে। গোটা কক্সবাজারে রয়েছে হাজারো পর্যটক।
দু’দিন ধরে ডায়াবেটিক সৈকত থেকে শুরু হয়ে এই ভাঙন পৌঁছেছে কলাতলী পর্যন্ত । তবে লাবনী পয়েন্টের ভাঙন বেশি বিপদজনক।
এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে টুরিস্ট পুলিশ ভবন, সৈকতের উন্মুক্ত মঞ্চ, ছাতা মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়বে বলেও আশঙ্কা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাগরণ/স্বদেশ/এসএসকে