রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার আসামি মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দীন ও জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি কার্যকর হতে পারে আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী কারাগার ও প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সে অনুযায়ী কারাগারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।
কারাগার সূত্র জানায়, ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮ জল্লাদকে। তাদের মধ্যে বাছাই করে নেওয়া হবে এক বা দু’জন জল্লাদ। কয়েক দফায় তারা ফাঁসি কার্যকর করার মহড়া দিয়েছেন।
কারা কর্তৃপক্ষের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুলিশ, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে অতিগোপনে ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষ অবগত করেছে।
মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মহিউদ্দীন ও জাহাঙ্গীরের স্বজনরা শেষ দেখা করেছেন। জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, কারা কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে তাদের শেষ দেখা করতে ডেকেছিল। মহিউদ্দীনের স্ত্রী নুসরাত জাহান, দুই ভাইসহ ছয়জন শেষ সাক্ষাৎ করেন। জাহাঙ্গীরের বাবা, ভাইসহ ৪২ জন দেখা করেন।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের আবাসিক কোয়ার্টার থেকে নিখোঁজ হন ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক তাহের আহমেদ। ৩ ফেব্রুয়ারি বাসাটির পেছনের ম্যানহোল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। পরে আদালতে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
হত্যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, বিভাগে অ্যাকাডেমিক কমিটির প্রধান ড. তাহের সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দীনকে অধ্যাপক পদে উত্তীর্ণ হওয়ার সুপারিশ না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
জাগরণ/অপরাধ/এসএসকে