রাজধানীর উদ্যানগুলোতে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি মাদকসেবী ও ছিনতাইকারীদের উৎপাত বেড়েছে। শুধু তাই নয়, অসামাজিক কাজ চলছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব উদ্যান এখন মাদক সেবীসহ অপরাধীদের অভয়ারণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উদ্যান ও পার্কগুলোতে সন্ত্রাসী ও ছিনতাকারীরা পরিকল্পনা করে থাকে।
গতকাল রোববার রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। অভিযানে মাদক বিক্রি, মাদক সেবন ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে নারীসহ প্রায় অর্ধশত ব্যক্তিকে আটক করা হয়। মাদক ব্যবসায় জিরো টলারেন্সের ধারাবাহিকতায় উদ্যানগুলোতে অভিযান চালায় র্যাব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্রে ওসমানী উদ্যান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক. মহানগর নাট্য মঞ্চের সামনের পার্ক, মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন, রায়ের বাজারের বধ্যভূমি, মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পেছনের পরিত্যক্ত এলাকায় চলছে মাদক ব্যবসা।
র্যাব সূত্র জানায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের দায়ে ৪৭ জন আটক হয়, এর মধ্যে দুজন নারী রয়েছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর অভিযানে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন।
তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে এ ঐতিহাসিক উদ্যানটিতে মাদক বিক্রি ও সেবন করে আসছিল। রাজধানীর একাধিক উদ্যান ও পার্ক এবং পরিত্যক্ত নির্জন এলাকাগুলো মাদক বিক্রি ও সেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। মাদক ব্যবসা বন্ধ ও মাদক সেবীদের গ্রেফতারে পর্যায়ক্রমে অভিযান চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, পুলিশের অভিযানের প্রেক্ষিতে নির্ধারিত আখড়ায় মাদক বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীরা রাজধানীর উদ্যান পার্কগুলোতে মাদক ব্যবসা ও সেবন নিরাপদ মনে করছে। তাই সে সকল স্থানেই মাদক ব্যবসা করছে। মাদকের বিরুদ্ধে র্যাবের এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, আমাদেরও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে কাউকে কোন ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এইচএম/আরআই