
রাজধানীর কমলাপুরের রেল স্টেশনের উল্টো দিকে ইস্টার্ন কমলাপুর টাওয়ারের চতুর্থ তলায় পাওয়া গেল ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার টর্চার সেল। র্যাবের তল্লাশিতে সেখানে পাওয়া গেছে নির্যাতনে ব্যবহৃত কিছু সরঞ্জামাদি। চাঁদা দিতে কোনো ব্যক্তি অস্বীকৃতি জানালে তাকে এ টর্চার সেলে এনে অমানুষিক নির্যাতন করা হতো। যার কারণে ওই টর্চার সেলের কক্ষের দেয়ালের কিছু স্থানে ঝোপ ঝোপ রক্তের দাগও রয়েছে বলে র্যাবের সোর্স সূত্রে জানা গেছে।
র্যাব সূত্র জানায়, অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর গুলশান-২ এর ৫৯ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাসা থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর তাকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বাসায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর টর্চার সেলের তথ্য পায় র্যাব।
এরপরই ওই রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনের উল্টো দিকে ইস্টার্ন কমলাপুর টাওয়ারের চতুর্থ তলায় ওই টর্চার সেলে হাজির হয় র্যাব-৩ এর একটি দল।
রাত ১২টায় র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, খালেদ অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তারের পর আমরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে টর্চার সেলের সন্ধান পাই ও অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে টর্চার সেল থেকে ইলেকট্রিক শক দেয়ার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, গায়ের চামড়া জ্বলে-জ্বালাপোড়া করে এমন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, বিপুল পরিমাণ লাঠিসোটা, হকিস্টিক দেখতে পাই। সেগুলো আমরা জব্দ করি।
র্যাব জানায়, টর্চার সেলে নির্যাতনের অনেক ধরনের যন্ত্রপাতি আমরা পেয়েছি। উচ্চ মাত্রায় সুদসহ পাওয়া টাকা আদায় সব ধরনের কাজে ব্যবহার করা হতো এই টর্চার সেল। রাত গভীর পর্যন্ত খালেদের টর্চার সেলে অভিযান চলমান রয়েছে। এখানে যা দেখছি লোম শিউরে ওঠার মতো অবস্থা হয়েছে আমাদের।
এইচ এম/টিএফ