গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার ‘জি র্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।
শনিবার (২ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। তবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অনুরোধের প্রেক্ষিতে কমিটির আর কোনও সদস্যের নাম আমি বলতে চাইছি না।
তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে আজ আমাদের এখানে কয়েকজন এসেছিলেন। আমরা কমিটির বিষয়টি তাদের জানিয়ে দিয়েছি। কাল তারা আবার আসবেন। তখন তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কমিটি কাজ শুরু করবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য কমিটি গঠন করেছে বিএসএমএমইউ। তাদের সাধুবাদ জানাই। আশা করছি দ্রুতই তারা কাজ শুরু করবে।
‘আমরা নিজেরা পরীক্ষা করে দেখেছি যে আমাদের কিট যথেষ্ট কার্যকর। তবে চাই আমাদের কিট ভালো হোক আর খারাপ হোক, বিএসএমএমইউ যেন এক সপ্তাহের মধ্যে তা পরীক্ষা করে দেশবাসীকে জানায়। কারণ দেশে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এখনই ব্যাপক হারে পরীক্ষা করার সময়। দেরি হলে সমস্যা আরও বাড়তে থাকবে’, বলেন তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি টিম বিএসএমএমইউ উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে এসেছেন। কাল তাদের আবার যেতে বলা হয়েছে, আলোচনা সাপেক্ষে কাজ শুরু করার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের যারা আমাদের কিট নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তারাও বিএসএমএমইউ’র পর্যবেক্ষণের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা চাই দ্রুত এসব কাজ শেষ করে করোনা মোকাবেলায় যতোটা-সম্ভব এগিয়ে যেতে।
৩০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনা কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
এসএমএম