• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২১, ০৮:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩১, ২০২১, ০৯:২১ পিএম

পরিবার নিয়ে থাকার কথা বলে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন সাবেরা

পরিবার নিয়ে থাকার কথা বলে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন সাবেরা

পরিবার নিয়ে থাকার কথা বলে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন চিকিৎসক কাজী সাবেরা রহমান লিপি। বিষয়টি জানিয়েছেন ফ্ল্যাটটির মালিক মো. মাহবুব।

সোমবার (৩১ মে) দুপুরের দিকে কলাবাগানের ৫০/১ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট সাবেরার মরদেহ উদ্ধার করে কলাবাগান থানা-পুলিশ। সাবেরা রহমান গ্রিন লাইফ হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন।  

মো. মাহবুব জাগরণকে বলেন, “গত ১ জানুয়ারি থেকে ওই ফ্ল্যাটের তিন তলায় ২৩ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন চিকিৎসক সাবেরা। ভাড়া নেওয়ার সময় বলেছেন যে স্বামী কানাডায় ব্যবসা করেন। পরে জানতে পারি ভাড়া নেওয়ার পর দুই রুম সাবলেট ভাড়া দিয়েছেন দুইটা মেয়েকে। একজন কানিজ সুবর্ণা। সে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। আরেকটি রুমে যে মেয়েটি থাকতো ঈদে বাড়ি যাওয়ার পর আর ফেরেনি।”

নিহতের খালাতো বোন জাকিয়া খন্দকার মনি বলেন, “লিপির এক ছেলে ও এক মেয়ে। তার রুমে মেয়ে মুসাইবা আনভার (১৩) সহ থাকতেন। রোববার মুসাইবা তার নানার বাসা গ্রিন রোড়ে চলে যান। ছেলে নানুর কাছেই থাকেন। আমার ধারণা করছি, আশেপাশে যারা শত্রুতাবশত কেউ এ কাজ করতে পারে।”

তিনি আরো জানান, “তার স্বামী শামসুর আজাদ একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। তিনি থাকেন শান্তিনগরে। আমি আসার পর দেখি, আমার বোনে পিঠে ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার ঘরের বিছানায় আগুন ধরানো হয়েছে।”

স্থানীয় রাজীব হাওলাদার বলেন, “আজ সকালে সাবলেটে থাকা তরুণী কানিজ ফাতেমা হাঁটতে বের হয়েছিলেন। পরে ঘরে ফিরে দেখেন সাবেরার রুম বন্ধ ও ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এ সময় তিনি দারোয়ানকে ডেকে তালা খুলে দেখতে পান চিকিৎসক নিচে পড়ে আছেন। সবাই ভেবেছিল আগুনে পুড়েছে। পরে ডিবি এসে তার গলায় একটি ও পিঠে দুটি আঘাতের চিহ্ন পায়।” 

রাজীব হাওলাদার বলেন, “সাবলেটের বাসিন্দা কানিজ সুবর্ণা সকালে তার এক বন্ধুকে ফোন করে বলেছিলেন যে, এরকম একটি ঘটনা ঘটছে তুমি আসো। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে গেছে।”

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের সাবলেটের বাসিন্দা কানিজ সুবর্ণা, তার এক বন্ধু ও বাসার দারোয়ান রমজানকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।