বাংলাদেশ পুলিশের বিদায়ী মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমাদের দেশে এক ধরনের নষ্ট রাজনীতির দুষ্ট চর্চা ছিল, এখনও আছে। এক শ্রেণির মানুষ আছে, যারা নষ্ট রাজনীতির দুষ্ট চর্চায় আমাকে তাদের বিপক্ষে আবিষ্কার করেছেন, তাদের প্রতি আজ বিদায়বেলায় আমার কোনও অভিযোগ নেই, অনুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিজের শেষ কার্যদিবসে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে তিনি এ কথা বলেন।।
বেনজীর আহমেদ বলেন, সবাই মিলেই আমাদের এই ভালোবাসার বাংলাদেশ। সবাইকে মিলিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বাস্তবায়নের জন্য আমরা সবাই হাতে হাত মিলিয়ে যে যেখানে আছি, সেখান থেকে দায়িত্ব পালন করব।
১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেয়া বেনজীর আহমেদ পুলিশ মহাপরিদর্শকের দায়িত্বে আসেন ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল। তার আগে প্রায় সাড়ে চার বছর এলিট ফোর্স র্যাবকে নেতৃত্ব দেন।
‘গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র গত ডিসেম্বরে র্যাব ও এর সাবেক-বর্তমান ৭ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা দিলে ওই তালিকায় র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে বেনজীর আহমেদের নামও আসে।
ওই নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পুলিশ প্রধান সম্মেলনে বেনজীরের অংশ নেওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিশ্চিত করায় ওই আয়োজনে অংশ নেয়ার পাশাপাশি তিনি নিউ ইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনাতেও যোগ দেন।
বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় শুক্রবার সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাচ্ছেন বেনজীর আহমেদ। ফলে আগের দিন বৃহস্পতিবারই ছিল তার শেষ কর্মদিবস।
পুলিশ বিভাগে নিজের ফেলে আসা পথের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ৩৪ বছর ৫ মাস ১৬ দিন বাংলাদেশ পুলিশে কাজ করেছি। এর মধ্যে ১২ বছর ঢাকায় দায়িত্ব পালন করেছি। পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদে দায়িত্ব পালন করেছি। ১২ বছরের পথচলায় অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করেছি। এ দেশের নাগরিকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দায়িত্ব পালনে অনেক চ্যালেঞ্জের মাঝে ফরমালিন বিরোধী অভিযান ছিল তার ‘বড় চ্যালেঞ্জ’। ফরমালিন মুক্ত করতে গিয়ে হাজার হাজার টন, মাছ, ফল ও সবজি ধ্বংস করতে হয়েছে।
সুন্দরবনের জলদস্যু মুক্ত করারটাও চ্যালেঞ্জের একটি কাজ ছিল। আজ দস্যু মুক্ত সুন্দরবন।
জাগরণ/অপরাধ/এসএসকে