• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০১৯, ০৫:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৪, ২০১৯, ০৫:০৩ পিএম

ঋণ খেলাপি সুবিধাভোগী কারা প্রশ্ন মোশাররফের

ঋণ খেলাপি সুবিধাভোগী কারা প্রশ্ন মোশাররফের
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন- ছবি: কাশেম হারুন

সরকারের সুবিধাভোগীদের জন্য বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ঋণ খেলাপিদের নানাভাবে সুযোগ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এরা কারা। এরা হচ্ছে সুবিধাভোগী। সুইজারল্যান্ড ব্যাংকে প্রতি বছর বাংলাদশিদের বৈদেশিক মুদ্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কানাডায় ‘বেগম পাড়া’ হচ্ছে। এরা কারা সুবিধা ভোগী। মালেশিয়ায় সেকেন্ড হোম বানাচ্ছে কারা, সুবিধা ভোগীরা। এই সুবিধা ভোগীর মধ্যে ক্ষমতাসীন সরকারের রাজনৈতিক নেতা আছেন, সমর্থক, সমর্থক ব্যাবসায়ী আছেন প্রশাসনের লোকেরা আছেন। আর এই সুবিধা ভোগীদের দ্বারাই সরকার। সুবিধা ভোগীদের জন্যেই এই বাজেট। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মহিলা বিজ্ঞানী সমিতি আয়োজিত ‘২০১৯-২০ বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ: আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণের জন্য এই বাজেট প্রনয়ণ করা হয় নাই। আর জনগণের জন্য বাজেট প্রনয়ণ করা না হলে, দেশের জন্য বাজেট প্রনয়ণ করা হয় না। আর দেশের জন্য বাজেট প্রনয়ণ করতে হলে এদেশের যেই জনগোষ্ঠী তাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করার জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা দেয়া হয়নাই। 

তিনি বলেন, যেই শিক্ষা খাত এই দেশের জনগণকে সার্বিকভাবে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করে দেশকে স্বনির্ভর এবং সমৃদ্ধি করবে সেই জায়গায় বসলে ধোঁকাবাজি করা হয়েছে। এখানে আমাদেরকে ফাঁকি দেয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি এভাবে ফাঁকি দিয়ে বেশিদিন সম্ভব হবে না। 

মোশাররফ বলেন, জনগণের দ্বারা এদেশের সরকার গঠিত হতে হবে। জনগণের ভোটে সরকার গঠিত হবে। ব্যবসায়ী ১০ জন ধনী ব্যক্তির মধ্যে যদি একজন অর্থমন্ত্রী হয়, সেখানে বৈষম্য কমবে না বৈষম্য বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক সুবিধা পাওয়া যাবে না। তাই যদি তার পরিবর্তন করতে হয় তাহলে সার্বিক ভাবে পরিবর্তন করতে হবে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে এদেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। তাই আমাদের সকলে যে যেই পর্যায়ে আছি আমরা গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবো।

তিনি বলেন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে মুক্ত করতে না পারলে ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে না। আসুন আমরা ন্যায় বৃদ্ধি, জ্ঞান বৃদ্ধি সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করি। 

বাংলাদেশ মহিলা বিজ্ঞানী সমিতির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. শাহেদা রফিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, কলামিস্ট ইকতেদার আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডীন ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. তাজমেরী এস ইসলাম,বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. ওবায়দুল ইসলাম ও বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মু. রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।


টিএস/টিএফ